
কলকাতা: যুবভারতী-কাণ্ডে আজ ফের মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কেন বারবার এই ইস্যু তুলে রাজনীতি করা হচ্ছে? এই নিয়ে আবারও সরব হয়েছেন তিনি। গতকালই তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে, কুম্ভতে যখন এত বড় ঘটনা ঘটে গেল সেই সময় সেখানকার মুখ্য়মন্ত্রী কি ক্ষমা চেয়েছিলেন? আজ এই নিয়ে ফের মুখ খুললেন তিনি।
এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা চেয়েছেন। এইভাবে ক্ষমা প্রার্থনা ভারতের অন্য মুখ্যমন্ত্রী এই সৌজন্যতা দেখায়নি। আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার মাথা হেঁট হয়েছে। কয়েকজনের আচার-আচরণের জন্য বাংলার মাথা হেঁট হয়েছে। এটা আমাদের কাছে কাঙ্খিত ছিল না। একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার কী করছে সেটাও আমাদের নজর রাখা উচিত। একাধিক রাজ্যে পদপিষ্টের ঘটনার পর কোনও ধরপাকড় তো দূরের কথা প্রকাশ্যে এসে মানুষের উদ্দেশ্যে ক্ষমা চাওয়া আমরা গত সত্তর বছরে দেখিনি। রেলে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। শয়ে শয়ে লোক মারা যাচ্ছে। রেলমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা দেখতে পাইনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অহংকার নেই, ঔদ্ধত্য নেই। বিজেপির নেতামন্ত্রীদের মতো ঔদ্ধত্য নেই। উনি বারবার বলেছেন আমরা মানুষের কাছে মাথা নত করব। কোথাও একটা রাজ্য প্রশাসনের ভুল হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। সেটা স্বীকার হয়েছে। উনি ক্ষমা চেয়েছে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এটা নিয়ে যারা রাজনীতি যারা করছেন তাঁরা বাংলাকে ছোট করছে।”
অভিষেক এ দিন এও বলেছেন, “বাংলাকে বলা হয় ফুটবলের মক্কা। যে আশা উৎসাহ নিয়ে দর্শকরা এসেছিলেন। কয়েকজনের ব্যবহার, আচার-আচরণ আদিখ্যেতা দেখাতে গিয়ে যাঁরা সমর্থকদের বা ফ্যানদের নিরাশ করেছেন, তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে। যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়নি। উদ্যোক্তরা দায়ী। সেখানে যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল হয়নি।” তৃণমূল সাংসদের সংযোজন, “নিশ্চিতভাবে যাঁরা পুজোয় জামা না কিনে টাকা জমিয়ে মেসিকে দেখবেv বলে এসেছিলেন, তাঁদের রাগ স্বাভাবিক। তবে এটা নিয়ে রাজনীতি না হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তদন্ত চলছে। যাঁদের ইনভলমেন্ট থাকবে তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেবে।”