Kalyan Banerjee: দিল্লিতে রাহুল-মহুয়াদের লড়াইয়ে কেন ছিলেন না কল্যাণ? প্রশ্ন ওঠার আগেই দিলেন উত্তর

Kalyan Banerjee: সোশ্যাল মিডিয়ায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, "গত ২০১৪ সাল থেকে আমি সংসদীয় ভবন কমিটির সদস্য। আমাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে (অধিকাংশ প্রস্তাব আমার ছিল) বাবা খড়গ সিং মার্গে নবনির্বাচিত সাংসদদের জন্য ১৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মিত হয়। কারণ তাঁদের বসবাসের জন্য বাংলো সংখ্যায় অনেক কম ছিল। কাজটি খুব সহজ ছিল না। অনেক পরিশ্রমের পরে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।"

Kalyan Banerjee: দিল্লিতে রাহুল-মহুয়াদের লড়াইয়ে কেন ছিলেন না কল্যাণ? প্রশ্ন ওঠার আগেই দিলেন উত্তর
সাংসদদের জন্য ফ্ল্যাট উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পাশে কল্যাণ

Aug 12, 2025 | 1:22 PM

কলকাতা: লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর গতকাল বিরোধী সাংসদদের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যায়নি। অথচ সাংসদদের জন্য ফ্ল্যাট উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে। মোদীর পাশে তাঁর দাঁড়িয়ে থাকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হতেই এবার মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কী বললেন তিনি?

সোশ্যাল মিডিয়ায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “গত ২০১৪ সাল থেকে আমি সংসদীয় ভবন কমিটির সদস্য। আমাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে (অধিকাংশ প্রস্তাব আমার ছিল) বাবা খড়গ সিং মার্গে নবনির্বাচিত সাংসদদের জন্য ১৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মিত হয়। কারণ তাঁদের বসবাসের জন্য বাংলো সংখ্যায় অনেক কম ছিল। কাজটি খুব সহজ ছিল না। অনেক পরিশ্রমের পরে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এবং গতকাল তার উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০ টায় এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়। এবং সাড়ে ১০ টায় আমি অনুষ্ঠানস্থল থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাই। যেখানে আমাদের দল SIR(স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন)-কে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা করেছে তার সওয়াল করি। এবং দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ যে মামলাটি ছিল সেটি OBC সংক্রান্ত। এই দুটি মামলার কারণে নির্বাচন কমিশনের সামনে SIR-এর বিরুদ্ধে ধরনায় অনুপস্থিত ছিলাম।

এরপরই তিনি লেখেন, “যদিও আমার অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে আমি দায়বদ্ধ নই। তাও আমি জানি আমার বিরোধী এমন অনেকে আছেন যাঁরা অপেক্ষায় থাকেন সমালোচনায় বিদ্ধ করবেন বলে। তাঁদের উদ্দেশে বলি, গত নির্বাচনে আপনাদের হাজার প্রচেষ্টার পরও গণদেবতাদের এবং মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে আমি এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ভোটে বিজয়ী হয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সততা এবং আন্তরিকতা বর্তমান। ঈশ্বর এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার আনুগত্য প্রশ্নাতীত এবং তা আজীবন একই থাকবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদের মকরদ্বার থেকে বিরোধী সাংসদরা নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর ঘেরাওয়ের জন্য যাত্রা শুরু করেন। কল্যাণ জানিয়ে দিলেন, রাহুল গান্ধী, মহুয়া মৈত্ররা যখন কমিশনের দফতর ঘেরাও কর্মসূচিতে ব্যস্ত, তখন তিনি সুপ্রিম কোর্টে SIR নিয়েই সওয়াল করছিলেন।