কলকাতা: তিনি লোকসভার সাংসদ। রাজ্যের শাসকদলের বর্ষীয়ান নেতা। লোকসভা ও বিধানসভা মিলিয়ে বেশ কয়েকবার নির্বাচনে জিতেছেন। প্রথমে কংগ্রেসের টিকিটে। আর এখন তৃণমূলের প্রতীকে। আর সেই সৌগত রায়কে এবার খোঁচা দিলেন তৃণমূলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, দলে প্রবীণদের প্রয়োজন। তবে বয়সের ঊর্ধ্বসীমাও থাকা দরকার। যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, বয়স বেড়ে গেলে আর একই রকম পরিশ্রম করা যায় না।
আর কয়েক মাস পর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে অভিষেকের এই মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে কি বয়সের কথা বিবেচনা করবে রাজ্যের শাসকদল?
বয়সের ঊর্ধ্বসীমা টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হবে কি না, সেই প্রশ্নকে গুরুত্ব দিতে চাননি দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। বছর ছিয়াত্তরের এই নেতা বলেন, যা কিছু বলতে পারেন অভিষেক। তৃণমূলে টিকিট দেবেন মমতা। সৌগত রায়ের এই মন্তব্য নিয়ে শাসকদলের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে দলেরই সাংসদকে ঘুরিয়ে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
সৌগত মন্তব্য নিয়ে কুণাল বলেন, “এই ধরনের মন্তব্যগুলো অনভিপ্রেত। এই ধরনের মন্তব্য বিভেদের বীজ বপন করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী, এটা সবসময় বলার দরকার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তৃণমূলের শেষ কথা, সেটাকে মনে করানোর কোনও ব্যাপার নেই। সৌগত রায় তো তৃণমূলের জন্মের সময় তৃণমূলেই ছিলেন না। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি তৃণমূলের জন্মের পর প্রথম নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন যদি তিনি একটু অতিরিক্ত ভক্তি দেখান, তার পিছনে অভিসন্ধি কেউ খুঁজতেই পারেন।”
কুণালের এই মন্তব্যে স্পষ্ট, সৌগতর বক্তব্যকে ভালভাবে নিচ্ছে না রাজ্যের শাসকদল। এখন সৌগত তাঁর মন্তব্য নিয়ে নতুন কোনও ব্যাখ্যা দেন কি না, সেটাই দেখার।