কলকাতা: সোমবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কার্যত ‘অ্যাটাকিং মোডে’ কখনও রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সিকে খোঁচা কখনও বা দলের প্রবীণ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। একদিন পর সেই বিতর্কেই জল ঢাললেন কুণাল। এবার শোনা গেল নরম সুর। বললেন, “তৃণমূল এক এবং ঐক্যবদ্ধ। বিষয় ভিত্তিক মত পার্থক্য থাকে।” শুধু তাই নয়, এও বললেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা শেষ কথা।”
গতকালই সুব্রত বক্সিকে উদ্দেশ করে মন্তব্য করতে শোনা যায় কুণালকে। বলেন, “মমতাদি যখন তৃণমূল কংগ্রেস করেছিলেন, রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন সুব্রত বক্সি। তেমনই সঞ্জয় বক্সিও কিন্তু তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রথম রাজ্য সভাপতি।” তৃণমূল নেতার এও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের সঙ্গী নন। পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, মমতাদি বলে রেখেছেন। আমরা মুখে বলব পুরনোদের, আর সঞ্জয় বক্সির মতো নেতারা পিছনের সারিতে চলে যাবেন? তাহলে পুরনো বলতে কারা? তাহলে কি পুরনো বলতে ৩-৪ জন শুধু? এভাবে হয় নাকি?” এরপর আজ কুণালের নিজের সুর নামিয়ে বলেন, “সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম দাঁড়াবেন। এককাট্টাভাবে ভোটে লড়বেন।” দলে প্রবীণদের ভূমিকা কেমন তাও বলতে শোনা যায় তৃণমূল মুখপাত্রকে। বলেন, “সিনিয়রদের ভূমিকা থাকবে। যতক্ষণ শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন ততক্ষণ একরকম ভূমিকা পালন করবেন। প্রবীণদের লড়াই, আত্মত্যাগ অভিজ্ঞতা সবটাই শেয়ার করবেন।”
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কুণাল বলেছেন, “তৃণমূল বড় পরিবার। এখানে প্রথম এবং শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা নিজেই তিনটি প্রজন্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। ফলে প্রবীণ নবীন সবাই থাকবেন। এইভাবেই তৃতীয়বারের সরকার গঠন হয়েছে।” তবে এই দ্বন্দ্বের কথা বলতে গিয়েও বিজেপি-সিপিএম-কে আক্রমণ করতে ভোলেননি কুণাল। বলেছেন, “নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের সমস্যা সিপিএম-বিজেপিতেও রয়েছে। একটা সময় জ্যোতি বসু, সুরজিৎ দে-র বিরুদ্ধে প্রকাশ কারাতদের অবস্থান ছিল। কংগ্রেসের কত জন ওয়ার্কিং কমিটি থেকে বেরিয়ে গেলেন। তৃণমূলে এই সব নেই। এই দ্বন্দ্ব বিরোধী দলগুলির ট্র্যাডিশন। এইখানে শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
তৃণমূল মুখপাত্রর দাবি, এত বড় দলে বিষয়গত মত পার্থক্য থাকবে। তবে লড়াইয়ের সময় সকলে একসঙ্গে লড়বে।