কলকাতা: কখনও ধর্মতলা, কখনও বিকাশ ভবন! বিগত কয়েক বছর ধরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় হকের চাকরির দাবিতে সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলন, ধরনা, অনশন কী কী না করেছেন। বুধবার আবার নজিরবিহীন ভাবে খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন তাঁরা। বিচারপতির তরফে একাধিক বিষয়ে পরামর্শ নেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সটান তাঁরা এসে হাজির তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ির সামনে।
তবে সূত্রের খবর, কুণাল ঘোষ বাড়িতে না থাকায় টেলিফোনে কথা বলেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। আগামী ২২ তারিখ তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দেন। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ২০২২ সালে কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতাতেই শিক্ষাদফতরে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যোগদান করতে পারেননি কোনও স্কুলে। অতিসত্বর কুণাল যেন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। যাতে তাঁরা দ্রুত চাকরিতে যোগদান করতে পারেন। সেই কারণেই গতকাল কুণাল ঘোষের বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “ফোন কথা হয়েছে। এই রাতে ওনার কাছে আমাদের আসতে হয়েছে বলে উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আগামী ২২ তারিখ দুপুর দু’টোর সময় ওনার অফিসে দেখা করবেন।”
গতকাল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপারিশপত্র পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সুপার নিউমেরারি পোস্ট ঘিরে আইনি জটিলতা থাকায় চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। সেই কারণেই এদিন বিচারপতির দ্বারস্থ হন তাঁরা। বিচারপতি তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। চাকরি প্রার্থীদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।