কলকাতা: এবারের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এমনটাই চর্চা তৃণমূলের অন্দরে। অতীত বলছে, একুশের মঞ্চ তৃণমূলের কাছে শপথ গ্রহণের মঞ্চ। এক সময় বামেদের হঠাবার শপথ নিতেই একুশে শহিদ দিবস পালন উদযাপন করত তৃণমূল।
পরে ২০১৪ সালে এই মঞ্চ থেকেই ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গ রাজনীতির গণ্ডী পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতির ঢেউ বারবার আছড়ে পড়েছে একুশের মঞ্চে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হঠাবার শপথ নিয়ে ২০১৮ সালের একুশে জুলাই মঞ্চ থেকে সরব থেকেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
দিল্লিতে বদলের ডাক বারবার দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ২০২৪-এর একুশে জুলাই ভোট সাফল্যের আবহে উদযাপিত হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনের জয়কে উৎসর্গ করা হবে একুশে জুলাইয়ের শহিদদের উদ্দেশে।
কিন্তু এবার কোন শপথ একুশের জুলাইয়ের সভা থেকে? তৃণমূলের অন্দরের খবর, এবারের মঞ্চ থেকে ২০২৬ এর বিধানসভার প্রস্তুতি শুরু করার আহ্বান জানাতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সংগঠনকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করতে বার্তা দিতে পারেন মমতা।
একুশের সমাবেশের পরই দলীয় সংগঠনে বেশ কিছু রদবদল ঘটাতে পারেন নেত্রী। এদিনের মঞ্চে সংগঠনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও নেত্রী কোনও বার্তা দেন কি না সেদিকে তাকিয়ে তৃণমূল শিবির।
জাতীয় রাজনীতিতে জোট ইন্ডিয়ার শরিক হিসাবে সক্রিয় রয়েছে তৃণমূল। সেদিক থেকে সংসদ ও সংসদের বাইরে লড়াইয়ের কী স্ট্র্যাটেজি হবে, তাও ঠিক করে দিতে পারেন মমতা। সেদিকেও নজর রয়েছে সবার।
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, রাজ্যে এই মুহূর্তে বিজেপি নির্বাচনী ফলাফলের নিরিখে ব্যাকফুটে। প্রতিদিন নেতাদের পরস্পর বিরোধী বার্তা সামনে আসছে। বিরোধী দলের এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে আক্রমণাত্মক বার্তা শোনা যেতে পারে তৃণমূল সুপ্রিমর কাছ থেকে। তবে গত কয়েকদিনে বারবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। একাধিক হিংসার ঘটনার ছবি সামনে আসছে, যেখানে নাম জড়াচ্ছে শাসকশিবিরের কারও কারও। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোন বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী, সেদিকেও থাকছে নজর।