AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BLO Protest: সিইও দফতরের সামনে তৃণমূলপন্থী বিএলও সংগঠনের তুমুল বিক্ষোভ, সঙ্গে মৃতের পরিবার

SIR in Bengal: বিগত কয়েকদিনে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে পরপর এসেছে বিএলও-দের মৃত্যুর খবর। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই দেখা গিয়েছে একই ছবি। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে জলপাইগুড়ির মালবাজার, সব জায়গা থেকেই এসেছে বিএলও-দের মৃত্যুর খবর।

BLO Protest: সিইও দফতরের সামনে তৃণমূলপন্থী বিএলও সংগঠনের তুমুল বিক্ষোভ, সঙ্গে মৃতের পরিবার
তুমুল বিক্ষোভ বিএলও-দের Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2025 | 5:03 PM
Share

কলকাতা: সিইও দফতরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ। বিশাল জমায়েত তৃণমূলপন্থী বিএলও সংগঠনের। দেখা করতেই হবে সিইও-কে এই দাবিকে সামনে রেখে উঠতে থাকে স্লোগান। বাধা পেতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। রাস্তাতেও বসে পড়েন একাধিক বিএলও। ক্ষোভের সঙ্গেই একজন বলে উঠলেন, সকাল থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রয়েছি। অনেকবার অনুরোধ করছি। কিন্তু কোনওকিছুই হচ্ছে না। সিইও-র সঙ্গে দেখা না করে আমরা এখান থেকে উঠছি না। যে বিএলও মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের লোকজন এসেছেন। কিন্তু কেন উনি দেখা করবেন না? তিনি কী ভিআইপি হয়ে গিয়েছেন? 

পাশ থেকে আর এক বিএলওকে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল। বললেন, “আমরা ডেপুটেশন দিতে চাই। কিন্তু পুলিশ আমাদের যেতে দিচ্ছে না। আমাদের ভিতরে না যেতে দিলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।” একই কথা মৃত বিএলও-র পরিবারের সদস্যদেরও। সামাগ্রিক ব্যবস্থার উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বললেন, “নির্বাচন কমিশন টালবাহানা করছে। জাকির হোসেন সম্পর্কে আমার দাদা হতেন। ওর পরিবারের সদস্যরা আসবে এরা জানতো। তারপরেও টালবাহানা করছে। পুরো ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি করছি আমরা। এসআইআর যদি করতে হয় তাহলে সঠিক পরিকল্পনা করে করতে হবে। এইভাবে অপরিকল্পিত এসআইআর চলতে পারে না। আমি যে আমার দাদাকে হারিয়েছে তার ক্ষতিপূরণ কমিশনকে দিতে হবে।” 

বিগত কয়েকদিনে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে পরপর এসেছে বিএলও-দের মৃত্যুর খবর। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই দেখা গিয়েছে একই ছবি। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে জলপাইগুড়ির মালবাজার, সব জায়গা থেকেই এসেছে বিএলও-দের মৃত্যুর খবর। জুড়ে গিয়েছে এসআইআর তত্ত্ব। পেশায় অঙ্গনওয়ারি কর্মী শান্তিমুনি ওরাওের মৃত্যুর পরেও রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনার পারদ ভালই চড়েছিল। স্বামী সুখু এক্কার দাবি, এসআইআরের কাজ নিয়ে কিছুদিন ধরেই তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তা থেকেই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন। ইতিমধ্যেই তিনি মালবাজার থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দিঘা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জাকির হোসেনের। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্কুলের কাজের পাশাপাশি এসআইআরের বাড়তি দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই বিএলও। তার জেরেই এই পরিণতি।