কলকাতা: কোথাও জলে ভেসেছে, কোথাও দাউদাউ করে জ্বলেছে ব্যালট বাক্স, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) রাজ্যজোড়া হিংসায় গিয়েছে একের পর এক প্রাণ। অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবর, ভোটের দিন রাজ্যজোড়া হিংসায় প্রাণ গিয়েছে ১৭ জনের। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। এদিকে ভোটে হিংসার যাবতীয় দায় রাজ্যপালের ঘাড়ে চাপালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। একইসঙ্গে দিলেন মামলা করারও হুঁশিয়ারি। ইতিমধ্যেই তিনি এ বিষয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলাতেও। তিনিও বলছেন, বাংলায় এই বেলাগাম হিংসার দায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসেরই।
এদিন মদন মিত্র বলেন, “এতগুলো খুনের জন্য আসল এফআইআর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। এত খুনের জন্য যদি কেউ উস্কানি দিয়ে থাকে তাহলে তা রাজ্যপাল দিয়েছেন। রাজ্যপাল যা করেছেন তাতে আমি যদি ওঁর জায়গায় থাকতাম তাহলে পদত্যাগ করতাম। উনি করবেন না। ওঁর ব্যক্তিগত বিষয়।” এরপরই তিনি বলেন, “আমি একজন বিধায়ক হিসাবে ওঁর বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলতে চাইছি। আমি এ নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছি।”
কার্যত একই মত তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। এদিন সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন, বিরোধীদের গার্জেন হয়েছেন উনি।” কুণালের আরও দাবি, “মৃত্যু আমরা চাই না। তবে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূলের কর্মী।”