
কলকাতা: রাজ্য সরকার বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার জন্য নতুন করে রাজ্য শিক্ষানীতি তৈরি করেছে। বাংলার তৈরি সেই রাজ্য শিক্ষানীতি পড়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি যতটুকু পড়েছেন, তাতে কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির সঙ্গে বাংলার শিক্ষানীতিতে বিশেষ ফারাক খুঁজে পাননি ধর্মেন্দ্র প্রধান। দক্ষিণ কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার একথা জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি ভারত সরকারের নয়া শিক্ষানীতিকে মানবেন না। তিনি একটি আলাদা শিক্ষানীতি বানাবেন। আমি সেই শিক্ষানীতি ডাউনলোড করে পড়ছি। এখনও পুরো পড়া হয়নি। কিন্তু আমি তাতে এখনও তেমন ফারাক কিছু দেখতে পাচ্ছি না।’
এদিন সন্ধেয় দক্ষিণ কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। তাঁদের সামনেই বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যের শিক্ষানীতি নিয়ে মৃদু হাসতে হাসতে একথা বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। একইসঙ্গে তিনি আরও জানালেন, রাজ্যের এই শিক্ষানীতি তৈরির উদ্যোগে তিনি খুশি। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষানীতিতে যেগুলি বলা হচ্ছে, সেগুলি যাতে ঠিকঠাক বাস্তবায়ন হয়, সেটিও দেখা দরকার বলে মনে করছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া শিক্ষানীতিতে যে ‘ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’, ‘টিচার ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’-এর কথা বলা হয়েছে, সেইরকম ব্যবস্থার কথা রাজ্যের শিক্ষানীতিতেও রয়েছে। সেই কথাও এদিন তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। এমন আরও অনেক ক্ষেত্রেই জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষানীতির মিল রয়েছে বলেই জানালেন তিনি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই গ্যাজেট নোটিফিকেশন করে রাজ্য শিক্ষানীতি ২০২৩ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও রাজ্যের তরফে শুরু থেকেই বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতির ‘বেস্ট প্র্যাক্টিস’গুলি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে।