AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

EXCLUSIVE: জেলে নরক যন্ত্রণা, ভয়ঙ্কর কথা শোনালেন জামিনে মুক্ত চাকরিপ্রার্থী

Upper Primary: মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, "কখনও ভাবিনি এই চাকরি চাইতে গিয়ে আমাদের জেলে যেতে হবে। আর পাঁচটা কয়েদির মতো থাকতে হবে। নরকের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না এই ক'দিনের অভিজ্ঞতা। তবে আরও একটা অভিজ্ঞতা হল। ভাগ্যের পরিহাস বলব কি না জানি না। চাকরি দুর্নীতির কারণে যারা জেলে আছেন, তাঁদের সঙ্গেই জেলে দেখা হল।"

| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2023 | 10:23 AM
Share

কলকাতা: চাকরির দাবিতে কালীঘাটে মিছিল, এরপর পুলিশের হাতে গ্রেফতার। প্রথমে পুলিশ লকআপ, তারপর জেল হেফাজত কাটিয়ে ৭২ ঘণ্টা পর সোমবার জামিন পান মোজাফ্ফর আহমেদ-সহ চার চাকরি প্রার্থী। এই মোজাফ্ফরের ছোট্ট মেয়ের জন্য দুধ কিনে ঘটনার দিন বাড়ি ফেরার কথা ছিল। বদলে যান গরাদের পিছনে। টিভিনাইন বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মোজাফ্ফর জানান, ‘বাড়িতে আমার ৩ বছরের মেয়ে আছে। আমাকে ছাড়া থাকে না। এই ৭২ ঘণ্টা তাকে না দেখে আমি যতটা কষ্ট পেয়েছি। সে আমাকে না দেখে আরও বেশি কষ্ট পেয়েছে। ওর জন্য দুধ কিনে বাড়ি ফিরতাম সেদিন। ফিরতে পারিনি।” কথাগুলো বলতে গিয়ে অসহায় বাবার চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে। তবে পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নেন মোজাফ্ফর। শোনান জেলে থাকার সময় কীভাবে জীবনকৃষ্ণ, কুন্তলদের দেখা হয়ে গেল তাঁদের।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, কুন্তল ঘোষ, সুবীরেশ ভট্টাচার্যরা। সকলের বিরুদ্ধেই মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ। অন্যদিকে মোজাফ্ফর আহমেদ সেই যুবক, যিনি দাবি করেছেন, যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অযোগ্যরা টাকার বিনিময়ে তাঁদের চাকরি ছিনিয়ে নিয়েছেন। আর সেই অযোগ্যদের সুযোগ করে দিয়েছেন কুন্তল ঘোষরা।

মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, “কখনও ভাবিনি এই চাকরি চাইতে গিয়ে আমাদের জেলে যেতে হবে। আর পাঁচটা কয়েদির মতো থাকতে হবে। নরকের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না এই ক’দিনের অভিজ্ঞতা। তবে আরও একটা অভিজ্ঞতা হল। ভাগ্যের পরিহাস বলব কি না জানি না। চাকরি দুর্নীতির কারণে যারা জেলে আছেন, চাকরি চুরির অভিযোগ যাঁদের নামে, তাঁদের সঙ্গেই জেলে দেখা হল। কুন্তল ঘোষ, জীবনকৃষ্ণ সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যর সঙ্গে দেখা হল জেলে। এটা একেবারেই ভাবিনি। বড় জোর ভেবেছিলাম চুরি, খুনে যুক্তদের সঙ্গে দেখা হবে। কিন্তু চাকরি চুরিতে অভিযুক্ত যাঁরা, তাঁদের দেখব ভাবতেই পারিনি।”

মোজাফ্ফরদের হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর কথায়, “সরকার চাইলে আশু এর সমাধান সম্ভব। আর আদালতে তো বিচার চলছেই। আশা করি অযোগ্যদের আদালত সরিয়ে দেবে। সেই জায়গায় যোগ্যরা চাকরি পাবেন। আর অযোগ্যদের কাছে যাঁরা চাকরি বিক্রি করেছেন, তাঁদেরও শাস্তি দেবে আদালত।”