
সুমন মহাপাত্র
কলকাতা: চিকিৎসকরা ১০ দিন সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকার কথা বলেছেন। কিন্তু, যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের স্ত্রী কেয়া গুপ্ত জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর রক্তচাপ ওঠানামা করছে। বুধবার সকালে স্বামীকে নিয়ে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে রওনা দেন তিনি। সেখানে ভাস্কর গুপ্তর শারীরিক পরীক্ষার পর হাসপাতালের ভর্তির সুপারিশ করেন চিকিৎসক। তারপরই তাঁকে বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত শনিবার ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। ওই গন্ডগোলের সময় যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে শারীরিক হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভাস্কর গুপ্ত। চিকিৎসকরা তাঁকে কমপক্ষে টানা ১০ দিন বেড রেস্টে থাকতে বলেন।
মঙ্গলবার অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ও আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এদিকে, আন্দোলনরত পড়ুয়ারা দাবি জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে। এর জন্য বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। ওই সময়ের মধ্যে উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে কথা না বললে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা।
গতকাল ভাস্কর গুপ্তে স্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সালে একবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর স্বামী। ৭ দিন আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। আর এদিন সকালে স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন তিনি। যাওয়ার আগে বলেন, ভাস্কর গুপ্তর রক্তচাপ ওঠানামা করছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের শারীরিক পরীক্ষার পর বলেন, আপাতত স্থিতিশীল আছেন তিনি। তবে তার রক্তচাপ ওঠানামা করছে। তাঁকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখার প্রয়োজন রয়েছে বেশ কয়েকদিন। ভাস্করবাবুর এমআরআই করা হবে। যেহেতু ভাস্করবাবুর একবার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে, তাই তাঁকে আর কোনও ঝুঁকির মধ্যে রাখতে চাইছেন না চিকিৎসকরা। তাঁকে হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন রাখা হবে বলে জানালেন চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস।