Court: ‘কোহলির মতো হওয়ার চেষ্টা করো’, গ্রেফতার হওয়া বিরাটের ফ্যানকে বললেন বিচারক
virat kohli: এদিন আদালত কক্ষে সরকারি আইনজীবী ও অভিযুক্তের আইনজীবী একজন জামিনে পক্ষে। অপরজন বিপক্ষে জোরালো সওয়াল জবাব করতে ব্যস্ত। আচমকাই বিচারকের মন্তব্য, "আমরা পিসি জেসি নিয়ে আলোচনা করছি। ওর মুখ দেখুন। ও খুশি যে ও যা করেছে সেটার জন্য।"

কলকাতা: ফেন্সিং টপকে সকলের নজর এড়িয়ে সোজা পৌঁছে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলির কাছে। বর্ধমানের বাসিন্দা ঋতুপর্ণ পাখিরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। ছোটো বেলা থেকে ঋতুপর্ণর স্বপ্ন ছিল বিরাট কোহলির পা ছুঁয়ে প্রণাম করার। আদালতে বিচারকের প্রশ্নের জবাবে অকপটে এমনটাই বললেন, কোহলির ফ্যান ঋতুপর্ণ। যা শুনে পাল্টা বিচারকের মন্তব্য, “এটা কারও স্বপ্ন হতে পারে?ভবিষ্যতে বিরাটের মতো হওয়ার চেষ্টা করো।”
কোর্টে শনিবারের সওয়াল-জবাব পর্ব এক নজরে….
সরকারি আইনজীবী (পিপি): অভিযুক্ত বিরাট কোহলিরকে এম্বারেস করা হয়েছে।
বিচারক: আপনি বলছেন বিরাটকে বিব্রত করেছে। সেটা কোথায় লেখা? বিরাটের নাম কোথায়?
পিপি: ভিডিয়োতে আছে।
বিচারক: সেটা সিজ করেছে?
পিপি: আমাদের পিসি (পুলিশ হেফাজত) দরকার। অনেকের নাম উঠে আসছে। বন্ধুরা উসকানি দিচ্ছিল বলেই জানতে পেরেছি। জামিন পেলে ভবিষ্যতে আরও অনেকে একে দেখে একই কাজ করতে পারে। কী ঘটাতে পারত কেউ জানে না। খেলোয়াড়দের জীবনের ঝুঁকি হতে পারে। আইন ভঙ্গ করেছে।
অভিযুক্তের আইনজীবী: একটি জামিনযোগ্য ধারা, একটি জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ‘ক্রিমিনাল ফোর্স অ্যাপ্লাইয়ের’ কথা বলা হয়েছে। কোনও রকম ধাক্কা দেয়নি। অভিযোগপত্রে কোথাও সে ধরনের কিছু উল্লেখ নেই। কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। সাত বছরের নিচের সাজা হয় এমন মামলাতে নোটিস দেওয়ার, সেটাও করা হয়নি। জামিনের আর্জি জানানো হয়।
(শনিবার আদালত কক্ষে সরকারি আইনজীবী ও অভিযুক্তের আইনজীবী সওয়াল-জবাবে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় আচমকাই বিচারকের মন্তব্য…)
বিচারক: আমরা পিসি (পুলিশ হেফাজত) জেসি (জেল হেফাজত) নিয়ে আলোচনা করছি। ওর মুখ দেখুন। ও খুশি যে ও যা করেছে সেটার জন্য।
একপরেই বিচারক ধৃতের কাছে জানতে চান কেন করলে এমন?
ঋতুপর্ণ: ছোটোবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল বিরাট কোহলির পা ধরে প্রণাম করব।।
বিচারক: এটা কারও স্বপ্ন হয়! বিরাটের মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার ইডেনে তখন ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। সেই সময় সকলের নজর এড়িয়ে ফেন্সিং টপকে মাঠের ভিতর ঢুকে পড়েন ঋতুপর্ণ। দৌড়তে দৌড়তে পৌঁছে যান বিরাটের কাছে। তার পায়ে লুটিয়ে পড়েন। পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। তারপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।





