Waterlogging: দুর্যোগে দুর্ভোগ, জল ঠেঙিয়ে যাত্রার যন্ত্রণা কমবে কবে?

Waterlogging: উত্তর থেকে দক্ষিণ। ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। জল জমেছে বিভিন্ন জায়গায়। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে আরও বৃষ্টি হলে রাস্তা থেকে জল কখন নামবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Waterlogging: দুর্যোগে দুর্ভোগ, জল ঠেঙিয়ে যাত্রার যন্ত্রণা কমবে কবে?
জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন জায়গাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 25, 2025 | 11:48 AM

কলকাতা: বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টিতে কলকাতায় বিপর্যস্ত জনজীবন। জলমগ্ন উত্তর থেকে দক্ষিণের একাধিক এলাকা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি জলমগ্ন। দক্ষিণে গড়িয়াহাট, হাজরার বেশ কিছু জায়গায় জল জমে রয়েছে। ফলে গাড়ি খুব ধীরে চলছে। এদিকে, গিরিশ পার্ক এলাকায় সুবীর চ্যাটার্জি রোডের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। তবে কেউ আহত হননি।

ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছে বিভিন্ন এলাকায়। দেখে নেওয়া যাক, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ভিত্তিক কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে-

  • মানিকতলা- ৯৭ মিমি
  • দত্তবাগান- ৭০ মিমি
  • বীরপাড়া- ৫৫ মিমি
  • মার্কাস স্কোয়ার- ৫১ মিমি
  • বেলগাছিয়া- ৪৯ মিমি
  • ধাপা লক- ১০৭ মিমি
  • তপসিয়া- ৭৯ মিমি
  • উল্টোডাঙা- ১০১ মিমি
  • কামডহরি- ২৫ মিমি
  • পামার বাজার- ৮৬ মিমি
  • ঠনঠনিয়া- ৭৭ মিমি
  • বালিগঞ্জ- ৭০ মিমি
  • মোমিনপুর- ৪৯ মিমি
  • চেতলা লক- ২৭ মিমি
  • যোধপুর পার্ক- ৪৩ মিমি
  • কালীঘাট- ৩৭.৪ মিমি
  • ট্রিচিং গ্রাউন্ড- ৬৪ মিমি
  • বেহালা ফ্লাইং ক্লাব- ৩৫ মিমি

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে জল জমা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষ। হাতে জুতো নিয়ে জল পেরিয়ে আসছিলেন এক যুবক। বললেন, “দুর্ভোগের শেষ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। এভাবে হাতে জুতো নিয়েই অফিসে যেতে হয়।” প্রতি বছর এভাবে রাস্তায় জল জমলেও কলকাতা পৌরনিগম কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।

হাতে জুতো নিয়ে জল ঠেঙিয়ে অফিসের পথে

সল্টলেক, নিউটাউনের একাধিক জায়গায় জল জমেছে। ধীরে চলছে বাস, অটো। অন্যদিনের তুলনায় বাসও কম বলে জানালেন নিত্যযাত্রীরা। ফলে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। অনেকে বলছেন, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও গাড়িতে উঠতে পারেননি।

জলমগ্ন নিউটাউনের রাস্তা

গভীর নিম্নচাপের জেরে শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দুর্যোগের ফলে আরও দুর্ভোগ কি অপেক্ষা করছে? আরও বৃষ্টি হলে রাস্তা থেকে জল কখন নামবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পৌরনিগমের তরফে এই নিয়ে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়।