কলকাতা: ওয়াটগঞ্জে দেহাংশ রহস্য এখনও সম্পূর্ণ ভেদ করতে পারেনি পুলিশ। দেহ শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে, জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম পরিচয়, গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ভাসুরকেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেহের বাকি অংশ খুঁজে পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। আর তাতেই বিঘ্নিত হচ্ছে তদন্ত। ওয়াটগঞ্জের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল মুখ খুলছেন না তদন্তকারী অফিসারের কাছে। দূর্গা সরখেলের দেহের অংশ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি কারণ দেহের বাকি অংশ কোথায় তা বলছেন না শুদ্ধ নীলাঞ্জন। পুলিশের অনুমান গঙ্গায় বাকি অংশ ফেলে দেওয়া হতে পারে। তাই গঙ্গায় তল্লাশি অভিযানে নামবে পুলিশ। পুলিশের অনুমান বেশ কিছু অংশ CISF কোয়ার্টারের ফেলে দেওয়ার পরে গঙ্গায় থাকতে পারে।
পুলিশ আরও একটি বিষয় নিয়ে সন্ধিহান। তদন্তে জানা গিয়েছে, দুর্গা সরখেলকে খুন করার পর দেহ বাথরুমে নিয়ে গিয়ে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় টুকরো করা হয়েছিল। মুণ্ড কাটা হয়েছিল, দুটো হাত, পেট, বুক-সব আলাদা করে কাটা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়ার দুর্গার ভাসুরই কি জড়িত, নাকি এত বড় কাজ করতে তাঁকে আর কেউ সাহায্য করেছিল, সেটাই খুঁজে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দুর্গার স্বামী নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই থাকতেন। তাঁকে কয়েক মাস আগে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শনিবার তিনি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন, তারপরও বাড়িতে অশান্তি হয়। এরই মধ্যে দুর্গাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।