
কলকাতা: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফলাফল। প্রতিবারের মতো এবারও কৃতীদের মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্ররা। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে প্রথম দশের মধ্যেই দুইজন রয়েছেন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে সোমতীর্থ করণ। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। অষ্টম স্থানে রয়েছেন পুষ্পক রত্নম। কৃতীদের মধ্যেৃনজর কেড়েছে পুষ্পক। সে বিহারের বাসিন্দা, কিন্তু ঝরঝরে বাংলা বলে। পড়াশোনাও বাংলাতেই। মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্থানাধিকার করে কী প্রতিক্রিয়া তাঁর?
পুষ্পক বলে, “আমরা সবাই রুটিন মতো নিয়মিত পড়াশোনা করি। সকালে উঠে প্রার্থনা করি। রাত ১১টা পর্যন্ত নাইট স্টাডি করি। নরেন্দ্রপুরের এই নিয়মানুবর্তিতাই আমার সাফল্যের কারণ।”
বিহারের নালন্দার বাসিন্দা পুষ্পক। বিহার থেকে বাংলায় কেন পড়তে এল, উত্তরে পুষ্পক জানায়, তার দুই দাদাও এই স্কুল থেকেই পড়াশোনা করেছে। এক দাদা ১৯৯৮ সালে ও আরেক দাদা ২০১৪ সালে পাশ করেন। আত্মীয়রাই পরামর্শ দিয়েছিলেন এই স্কুলে ভর্তি করার। সেই পরামর্শ মেনেই পুষ্পকের মা-বাবা পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন ভর্তি করে।
স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ৬ ঘণ্টা নিজেও পড়াশোনা করত পুষ্পক। অঙ্ক ও বায়োলজি ভাল লাগে তাঁর। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। তাঁর এই রেজাল্টে মা-বাবাও খুব খুশি। পুষ্পক কৃতিত্ব দিয়েছে শিক্ষকদেরও। তাঁর মতে, কঠোর পরিশ্রমই সাফল্যের কারণ।
চিকেন বিরিয়ানি খুব পছন্দ পুষ্পকের। ক্রিকেট খেলতেও খুব ভালবাসে। তবে আপাতত সাফল্যই উপভোগ করতে চায় পুষ্পক।
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলারও নিন্দা করেছে পুষ্পক। বদলা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সে।