
কলকাতা: মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ গঠন নিয়ে তুঙ্গে উত্তেজনা। একদল বলছে, পক্ষপাতদুষ্ট কার্যকলাপ, অন্যদল বলছে, প্রার্থী না থাকায় হাহাকার।
সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ গঠনের পালা। ব্যালটে ‘মতামত’ জমা হওয়ার পর ক্ষণিকের মধ্যে শুরু হবে গণনাপর্ব। তারপরেই ঘোষণা হবে মেডিক্যাল কলেজে কোন পড়ুয়াদের জোর বেশি। মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু রাজ্যে ছাত্র পরিষদের নির্বাচন ঝুলে রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের নানা সমস্যা, আপদে-বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো, নবীনদের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজনের মতো একাধিক কাজের দায়িত্ব নেওয়ার লোকের অভাব ঘটছে। সাধারণ ভাবে এই সকল কাজগুলির দায়িত্ব থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত ছাত্র পরিষদের উপর।
এমতাবস্থায়, নির্বাচন নয় বরং মতামতের মাধ্যমে সংসদ গঠনই একমাত্র ভরসা। তাই জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বা NMC-র নীতি মেনেই সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে ছাত্র সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া। কিন্তু তাতেও ‘উল্টো সুর’ শাসক শিবিরের পরিষদের।
প্রসঙ্গত, আরজি কর আন্দোলনের সময় তৃণমূলের মদতে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন WBJDF-এর পাল্টা তৈরি হয়েছিল WBJDA বা ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। এবার কলকাতা মেডিক্যালে ছাত্র সংসদ গঠনের তোড়জোড় শুরু হতেই সুর চড়াল তারা।
কী দাবি তাদের?
WBJDA-এর দাবি, ‘ছাত্র ইউনিয়ন গঠনের নামে প্রহসন চলছে। অধ্য়ক্ষ নির্দিষ্ট দু’টি সংগঠন যথাক্রমে MCDSA ও AIDSO-কে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। যার জেরে WBJDA সংসদ গঠনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।’ পাশাপাশি, ছাত্র সংসদ গঠনে গলদ ও পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষের পদত্যাগেরও দাবি করেছে তারা।
পাল্টা তৃণমূল সমর্থিত WBJDA-এর দাবিকে কার্যত গুরুত্ব না দিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘চাকরি করি, প্রশাসন বললে চলে যাবে।’ অন্যদিকে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠা সংসদ গঠনে অংশগ্রহণকারী দুই সংগঠন MCDSA ও AIDSO-এর দাবি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে WBJDA-এর কোনও ভিত্তি নেই। সমর্থন না থাকার কারণেই সংসদ গঠনে তারা প্রার্থী দিতে পারেনি। তাদের আরও দাবি, এটা গণতন্ত্রের উৎসব। তৃণমূল ওদের থ্রেট কালচার চালাতে না পারায় এই সব করে আটকানোর চেষ্টা করছে।
সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে গণনাপর্ব। দিনশেষে মেডিক্যালে নজির গড়েছে বামপন্থী MCDSA। গঠন করেছে নিজেদের ছাত্র সংসদ।