Weather Update: নিম্নচাপের উপর কোটালে বাড়ছে বিপদ! হু হু করে বাড়ছে জল, জারি অ্যালার্ট

Weather Update: নিম্নচাপের প্রভাবে একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জেলার একাধিক নীচু এলাকা। অন্যদিকে নদী এবং সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে বাঁধ ভেঙে এবং উপচে নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং মৌসুনি দ্বীপের সল্টঘেরি অঞ্চল।

Weather Update: নিম্নচাপের উপর কোটালে বাড়ছে বিপদ! হু হু করে বাড়ছে জল, জারি অ্যালার্ট
Image Credit source: TV9 Bangla

Jul 26, 2025 | 11:07 AM

শুভেন্দু হালদার ও কমলেশ চৌধুরীর রিপোর্ট

সুন্দরবন: শুক্রবার তুমুল বৃষ্টি দেখেছে বাংলা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত থেকে যা বৃষ্টি হয়েছে, তাতে জলমগ্ন হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। রাস্তায় রীতিমতো দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। আবহাওয়া দফতর এবার কিছুটা স্বস্তির খবর এলেও, এখনও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।

ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে গিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। রাঁচির কাছে নিম্নচাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এবার মধ্য ভারতের দিকে সরে যাবে ওই নিম্নচাপ।

আজও শনিবারও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায়। বৃষ্টি ও ঝাড়খণ্ডের জলে প্লাবনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার পর্যন্ত কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে চলছে একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টি। উত্তাল রয়েছে সুন্দরবনের নদী এবং সমুদ্র। অমাবস্যার কোটালের জেরে জলস্তর কয়েকগুণ বেড়েছে। বইছে দমকা ঝড়ো হাওয়া। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জলপথে এবং স্থলপথে চলছে মাইক প্রচার। আজ শনিবার জেলায় বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জেলার একাধিক নীচু এলাকা। অন্যদিকে নদী এবং সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে বাঁধ ভেঙে এবং উপচে নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং মৌসুনি দ্বীপের সল্টঘেরি অঞ্চল।

পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর গ্রামে প্লাবন ঠেকাতে তৈরি করা হচ্ছিল অস্থায়ী রিঙবাঁধ। বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে শনিবার সেই রিঙবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। সদ্য তৈরি হওয়া বাঁধ উপচে ওই জায়গায় অংশ দিয়ে নোনা জল ঢুকে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। সমুদ্রের জলে জলমগ্ন বিঘের পর বিঘে চাষের জমি, রাস্তা, পুকুর। জলবন্দি হয়ে রয়েছে ৭০ থেকে ৮০টি পরিবার। সদ্য তৈরি হওয়া রিঙবাঁধ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে দুর্গত মানুষজন।