
কলকাতা: নীল ঝকঝকে আকাশ, টুকরো টুকরো পেঁজা তুলোর মতো মেঘ জানান দিচ্ছে, দুর্গাপুজোর আর বেশিদিন দেরি নেই। মাসের শেষেই পুজো। ইতিমধ্যেই অনেকের পুজোর প্ল্যানিংও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে যা খবর মিলেছে, তাতে পুজোর মজা অনেকটাই ভেস্তে যেতে পারে। সেপ্টেম্বরেই অতিবৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে। এই নিয়েই বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, সেপ্টেম্বরে ৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দেশজুড়ে। স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গেও। জুন থেকে অগস্ট মাসে দেশে ৬ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। এবার সেপ্টেম্বরের জন্যও খারাপ খবর।
পুজোর মাসে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল নয়া দিল্লির মৌসম ভবন। দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিম ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টি হতে পারে। আগামী তিন সপ্তাহের থেকেও পুজোর ঠিক আগের সপ্তাহে অর্থাৎ মহালয়ার আগে ও পরে দক্ষিণবঙ্গে অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৯ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও অতিবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। দুর্গাপুজোর সময় এই বৃষ্টি সামাল দেওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
আর সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত বৃষ্টির অর্থ প্লাবন। তার কারণ জুন-জুলাইয়ের বৃষ্টিতে পরিপূর্ণ জলাধার, নদী, খাল। সেপ্টেম্বরেও যদি আরও বৃষ্টি হয়, তবে তা আশেপাশের এলাকা প্লাবিত করতে পারে। এর সবথেকে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল ১৯৭৮-র বন্যা। সেই বছর জুন মাসে ২৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। জুলাই মাসে ২৭৪.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গে, অগস্টে ৩৪৯.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। সেই বছর সেপ্টেম্বরে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়, ৫৯১.৮ মিলিমিটার। ভেসে যায় দক্ষিণবঙ্গ। এবারও কি অতিবৃষ্টি হবে? ভয় সেখানেই।