কলকাতা: ২০২৩ প্রায় শেষ। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই নতুন বছর। রবিবার বর্ষশেষের রাত থেকে সোমবার বর্ষবরণে মেতে উঠবে আপামর রাজ্যবাসী। এই দু’দিন আবহাওয়ার কেমন থাকবে, তা জানতে আগ্রহী প্রত্যেকেই। সোয়েটার পরে বেরবেন নাকি সাধারণ পোশাকই যথেষ্ট? রাতের সেলিব্রেশনের জেরে গলা ব্যাথা হবে না তো? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, তেমন কোনও দুশ্চিন্তার কারণে নেই। তবে শনিবার সকালে আবহাওয়া দফতরের হাতে যে উপগ্রহ চিত্র এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের লাহোরের যা অবস্থা, পশ্চিমবঙ্গের মালদহেরও সেই একই অবস্থা।
এদিন উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, কুয়াশায় ঢেকেছে পাকিস্তান থেকে ভারত। একই কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে উত্তর থেকে পূর্ব ভারত। সেই চাদরের মধ্যেই রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ। রয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যও।
এই কুয়াশার জেরে এদিন সকাল থেকে দেরিতে চলছে একাধিক ট্রেন। বিমানবন্দরগুলি থেকে উড়তে পারছে না বিমানগুলি। জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির কারণেই এই কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আর তার জেরেই শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে। প্রায় নেই বললেই চলে।
শুধু শনিবার নয়, আগামী সাত থেকে আট দিন তাপমাত্রা কমছে না। শীত কার্যত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে আরও অন্তত এক সপ্তাহ। তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে। এবছর শীত শুরু হওয়ার পর প্রথমে বাড়ে পূবালি হওয়ার দাপট। ফলে বাধা পায় শীত। আর এখন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৭.৫ ডিগ্রি। আগামী কয়েকদিন ১৭-১৮ ডিগ্রির আশপাশেই থাকবে তাপমাত্রা। বর্ষশেষ-বর্ষবরণেও তাপমাত্রা কমার আশা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।