
কলকাতা: সবে শীতের আমেজ নিতে শুরু করেছিল বঙ্গবাসী। রাতে শীতল হাওয়াই বইছিল একাধিক জায়গায়। কিন্তু সেই আমেজ নিতে না নিতেই সব উধাও। জোড়া ফলায় আটকে গেল বঙ্গের শীত। নভেম্বরে আর শীতের আশা নেই বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। জাঁকিয়ে শীত তো দূরের কথা, বিগত কয়েকদিন ধরে রাতে ও ভোরে যে শীতের আমেজ অনুভব করা যাচ্ছিল, সেটাও গায়েব হতে চলেছে।
বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকছে পূবালী হাওয়া। এক-দু’দিন নয়, আগামী আরও ৯ দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে প্রভাব বিস্তার করবে এই পূবালী হাওয়া। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। দোসর হবে বাতাসে বেড়ে যাওয়া জলীয় বাষ্প। আর সেই জোড়া ফলায় সাময়িকভাবে গায়েব হবে শীত।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ২০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার উত্তর পশ্চিম ভারতের শীতল হাওয়ার যোগান সাময়িকভাবে বন্ধ হবে উত্তরবঙ্গে। ঢুকছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। ২০ এবং ২১ নভেম্বর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে বইবে। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমের একাংশে ২০ এবং ২১ তারিখ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে আগামী শনিবার তৈরি হতে চলেছে এক শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় সেই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এই সিস্টেম ২৬ নভেম্বর মৃদু শক্তির একটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে কয়েকটি আন্তর্জাতিক আবহাওয়া গবেষণা সংস্থা দাবি করেছে। ২৭ নভেম্বর এটি অন্ধ্র উপকূলের কলিঙ্গপত্তনম মৎস্য বন্দরের কাছাকাছি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে।
এই সিস্টেমের জেরে ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সহ ৬ জেলায় থাকবে মেঘলা আকাশ। জলীয় বাষ্পের পরিমানও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে, ফলে আর্দ্র অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এমনকী উপকূল লাগোয়া কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হতে পারে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতায় মঙ্গলবার রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১৯ ডিগ্রির কাছাকাছি ছিল। শুক্রবারের মধ্যে সেই তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আপাতত খুব বেশি ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা নেই।