
কলকাতা: সকালে উঠলে এখন কিন্তু একটা শিরশিরে ভাব অনুভূত হচ্ছে। হাতে পায়ের চামড়াতেও পড়ছে টান! এই বছর যা বৃষ্টি হয়েছে, তাতে রীতিমতো তিতিবিরক্ত বাঙালি। পশ্চিমাঞ্চল তো বটেই, সপ্তাহ দেড়েক আগের বিপর্যয়ে রীতিমতো ধ্বংসস্তুপের চেহারা নিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকলেই চাইছেন, আর বৃষ্টি নয়! আলিপুর আবহাওয়া দফতর কী বলছে? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আপাতত বাংলায় আর বৃষ্টির সম্ভাবনা সেভাবে নেই।
দক্ষিণ বাংলাদেশের ওপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সামান্য হতে পারে, তবে খুব বেশি নয়। মঙ্গলবারের মধ্যেই আবহাওয়ার পরিবর্তন। শুষ্ক আবহাওয়ার শুরু। বাংলায় বর্ষা বিদায়ের শুরু।
আবহাওয়াবিদদের ভাষায় বর্ষা বিদায় রেখা হয়। সেই রেখার অবস্থান রক্সৌল বারাণসী জব্বলপুর আকোলা আলিবাগ। আগামী দু তিন দিনে ফের সক্রিয় হবে বর্ষা বিদায় রেখা। আগামী ২ থেকে ৩ দিনে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বাকি অংশ থেকে বিদায় নেবে বর্ষা। একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ড, ছত্রিশগড় থেকেও বর্ষা বিদায় নেবে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, সিকিম এবং তেলেঙ্গানা থেকেও বর্ষা বিদায় পর্ব শুরু হবে আগামী দুদিনের মধ্যে।
তবে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কেরল উপকূলে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। উত্তর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অবস্থান করছে। তার জেরেই বাংলার দক্ষিণবঙ্গে যেটুকু বৃষ্টি হওয়ার হবে। ভারী বৃষ্টির আর কোনো সম্ভাবনা নেই। মূলত পরিষ্কার আকাশ; কখনও আংশিক মেঘলা হবে। ঝাড়গ্রাম, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা।
বুধবার থেকেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলা থেকে বর্ষা বিদায় নিতে পারে বুধবারের মধ্যে।
উত্তরবঙ্গের আকাশ আপাতত রোদ ঝলমলে থাকবে। উপরের দিকের পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে দু এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। মূলত এটা পাসিং রেইন।
কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪. ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১. ৬ডিগ্রি।