
কলকাতা: আবহাওয়া দফতর আগেই বলেছিল, মন্থা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ল্যান্ডফল করবে। সেই মতো, মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্রপ্রেদেশের আছড়ে পড়ে মন্থা। তবে এটাও বলা হয়েছিল, অন্ধ্র যে ঝাপটা পাবে, তা বাংলায় পড়বে না। কিন্তু তার জেরে প্রবল বৃষ্টি গোটা বাংলা জুড়ে।
অন্ধ্র তেলেঙ্গানা বর্ডার থেকে ধীরে ধীরে ছত্তীশগড়ের দিকে সরছে। পরবর্তীকালে আরও খানিকটা দুর্বল হবে। সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বিহারের দিকে সরে আসবে। দুর্ভোগ কিন্তু বাংলায় থেকেই যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকবে, শক্রবার পর্যন্ত বাংলায় ভারী বৃষ্টি হবে। তবে উত্তরবঙ্গের জন্য আরও একটা বড় বিপদ। উত্তর পশ্চিম ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে, সেটা ধীরে ধীরে পূর্ব ভারতের দিকে সরবে। ফলে একদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আর আরেকদিকে নিম্নচাপ, জোড়া ফলায় নেপাল, বিহার, সিকিমের পাশাপাশি আমাদের উত্তরবঙ্গে কিন্তু প্রবল দুর্যোগ তৈরি হবে। অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে। কেবল শুক্রবারই ২০০ মিলিমিটারের কাছাকাছি বৃষ্টি হতে পারে। পাহাড়ে ফের ধসের আশঙ্কা, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা। ফলে অক্টোবরের শুরুতে যে ভয়াবহ চিত্র আমরা দেখেছিলাম, তা আবারও ফিরতে পারে। উদ্বিগ্ন প্রশাসনও।
আজ, বুধবার হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম এই ছয় জেলাতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা। ৩০ শে অক্টোবর পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা মৎস্যজীবীদের। বৃহস্পতিবারেও ভারী বৃষ্টি। পুরুলিয়া, বীরভূম পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। সব জেলাতেই ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে।