
কলকাতা: এক বাংলায় দুই নিম্নচাপ। একজন গিয়েছেন, আরেক জন আসছেন। পঞ্চমীর দিন বাংলায় একটা নিম্নচাপের ভ্রকুটি কাটতেই জারি হয়েছে আরও একটা নিম্নচাপের সতর্কতা। যার জেরে একেবারে পুজোর শেষ দিনে গিয়ে ভিজতে পারে বাংলা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ষষ্ঠী, সপ্তমী এবং অষ্টমী, এই তিন দিন কোনও ভাবেই ভয় দেখাতে পারবে না বৃষ্টি। চিন্তার মেঘ জড়ো হয়েছে নবমীতে। সেদিন থেকে পরিবর্তন হবে আবহাওয়ার ‘মুড’।
আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবত ঘনীভূত হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। যার প্রভাবে মধ্য এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভবনা রয়েছে ১ তারিখ অর্থাৎ নবমীর দিন। আর ঠিক সেদিন থেকেই বেশ কিছু অঞ্চলে শুরু হবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত। যা চলতে পারে একাদশীর পরও।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, নবমীতে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ দশমীতে তুমুল রূপ নেবে। ওই দিন কলকাতা-সহ ১১ জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। এমনকি, একাদশী পর্যন্ত চলতে পারে সেই বৃষ্টিপাত। সেদিন উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আরও ৭টি জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা। মূল প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে।
উৎসবমুখর বাংলায় বৃষ্টি কোন কোন দিন ‘বুকিং’ নিয়েছে, তা তো না হয় জানা গেল। কিন্তু আজ অর্থাৎ রবিবার আবহাওয়া কেমন থাকবে? বৃষ্টির সম্ভবনা কি মোটেই নেই? নিশ্চিন্তে হবে প্য়ান্ডেল হপিং? হাওয়া অফিস প্রাথমিক ভাবে সেই নিশ্চয়তা দিয়ে থাকলেও, তারা আরও জানিয়েছে যে শহরের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি দেখা দিতেই পারে। কোথাও থাকবে রোদেলা আকাশ, কোথাও আবার মেঘে ঢাকা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। তবে অষ্টমী পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিই দেখা যেতে পারে।
এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ আদ্রতা রয়েছে ৯৪ শতাংশ, যার জেরে রাস্তায় বেরলেই তৈরি হচ্ছে অস্বস্তি। সর্বনিম্ন আদ্রতা ৬৯ শতাংশ।