কলকাতা: “রাজনৈতিক জীবনে আমি কি দুঃখ পাইনি? পেয়েছি। তা বলে দল ছাড়িনি।” অমিত শাহের সভায় তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদের উপস্থিতি নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (sovandeb chatterjee)। শিশিরের পদ্ম-যোগ নিয়ে তাঁর মন্তব্য, উনি আদর্শচ্যুত হলেন।
শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর বারবার প্রশ্ন উঠেছে অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) অবশ্য ধর্মসংকটের মধ্যে ছেলের পক্ষই বেছে নিয়েছিলেন। তবে রবিবার বিজেপি মঞ্চে তাঁর পাকাপাকি উপস্থিতি দেখা গেল। আর যা নিয়ে মর্মাহত তৃণমূলের আর এক প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়। মমতার ছেড়ে যাওয়া ভবানীপুর আসন ভার দখলে রাখার ভার বর্তেছে এবার তৃণমূলের প্রথম বিধায়কের ওপর। আর তৃণমূল নেত্রী এবার লড়ছেন নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন থেকে। যেখানে তাঁর অন্যতম প্রতিপক্ষ একসময়ের সৈনিক শিশির পুত্র শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ছেলের সঙ্গে শিশিরের এই বকলমে পদ্মে যোগ নিয়ে ব্যথিত শোনাল তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সতীর্থ তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেবকে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শোভনদেব বলেন, “রাজনৈতিক জীবনে আমি কি দুঃখ পাইনি? পেয়েছি। কিন্তু তাই বলে দল ছাড়িনি। মমতার সঙ্গে আছি কারণ ওনার প্রকল্প একেবারে নিচুস্তরের মানুষের জন্য।” তারপর শিশির-সহ অধিকারীদের পদ্মে যোগ নিয়ে তাঁর মন্তব্য, আদর্শহীন ভাবে যাঁরা চলে যান, তারা আবার ব্যথা পেলে সেখান থেকেও চলে যাবেন। এরপর নিজের সম্পর্কে শোভনদেব বলেন, “দুঃখ পেলে বসে যাব কিন্তু অন্য দলে যাব না। অনেকে তিনবার দলবদল করেছেন। শিশিরবাবু চলে গেলেন। উনি আদর্শচুত হলেন।”
আরও পড়ুন: পতাকা না ধরেই পদ্মযোগ শিশিরের, সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে যাওয়ার ইঙ্গিত?
তৃণমূল কংগ্রেস দলটির গঠিত হওয়ার পর সেই দলের প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনিই এবার বিধানসভায় প্রার্থী ভবানিপুর কেন্দ্রের, যেখানে বর্তমান বিধায়ক খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে লড়াইয়ে প্রস্তুত শোভনদেবের কথায়, ৫৮ বছর রাজনীতি করার পর নিজের বাড়ি থেকে লড়তে পারছি। আমি কৃতজ্ঞ।