AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এবছর করোনায় বিপদ বাড়ছে শিশুদেরও! কী উপসর্গ, কেমন হবে চিকিৎসাবিধি? সতর্কবার্তা কমিটি প্রধানের

করোনার (COVID) কবলে শিশুরাও। এবার সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্যও (West Bengal Corona Update)।

এবছর করোনায় বিপদ বাড়ছে শিশুদেরও! কী উপসর্গ, কেমন হবে চিকিৎসাবিধি? সতর্কবার্তা কমিটি প্রধানের
ছবি- পিটিআই
| Updated on: May 06, 2021 | 4:41 PM
Share

কলকাতা: করোনার (COVID) কবলে শিশুরাও। এবার সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্যও (West Bengal Corona Update)। করোনা যে ভাবে আক্রমণের ধার বাড়াচ্ছে, তাতে বিপদ বাড়ছে শিশুদেরও। তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। শিশুদের জন্য এবার বিশেষ কোভিড প্রোটোকল ম্যানেজমেন্টের ভাবনা রয়েছে রাজ্যের। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে কমিটি। কমিটির পরামর্শেই তৈরি হচ্ছে চিকিৎসাবিধি। ছোটোদের ক্ষেত্রে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা পরামর্শ দিচ্ছেন কমিটির সদস্যরা।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে শিশুদেরও করোনা আক্রান্তের খবর আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে। যেহেতু তাদের এখনই ভ্যাক্সিনেশনের কোনও ব্যবস্থা নেই, তাই তাদের জন্য বিশেষ চিন্তাভাবনা করছে স্বাস্থ্য দফতর। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের জন্য বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্য স্বাস্থ্য মহল। রাজ্যের প্রেক্ষিতে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রথম ঢেউয়ে শিশুদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। আক্রান্ত হলেও তারা বেশিরভাগই উপসর্গহীন ছিল।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যেই মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। পরিসংখ্যানের বিচারে, গত বছর করোনা আক্রান্তের মধ্যে ১-১২ বছরের শিশু আক্রান্তের শতাংশ ছিল ৪.২। এবছর সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৮ শতাংশ। এক জন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে করোনা চিকিৎসায় যে পদ্ধতি, ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই চিকিৎসাবিধি শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

এ প্রসঙ্গে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, “এ বার শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি, এ কথা সত্যি। তবে গুরুতর উপসর্গ বা অবস্থা আশঙ্কাজনক যে হচ্ছে, তা আমি এখনই বলতে পারব না। সেকেন্ড ওয়েভের মাত্র কয়েক দিনই হয়েছে। এরই মধ্যে এই কথা বলে দেওয়া যায় না। তবে আগে শিশুদের মধ্যে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের প্রবণতা বেশি ছিল। এবার জ্বর, সর্দি, কাশি, পেট খারাপ, র্যাশ হচ্ছে। অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়া বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তা এখনও হয়নি। তবে হওয়ার রিস্ক আছে। এবার বাচ্চাদেরও গুরুতর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। অক্সিজেনটা তাদের শরীরে মেনটেইন করতে হবে। কখনও স্যালাইন চালিয়ে রাখতে হয়।”

আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত ১৬ জনের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, ঘোষণা মমতার

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন চিকিৎসক। তাঁর বক্তব্য, “আমরা যেটা বিশেষ করে দেখি, কোভিড সেরে যাওয়ার মাস খানেক পরে একটা রিয়েকশন হয়। সেক্ষেত্রে স্টেরয়েড দিলে একটা বেনিফিট হয় ওদের।” উল্লেখ্য, চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে। এই দলই করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসাবিধি কী হতে পারে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করছে।