ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন গুরুতর জখম মমতা, জবাব দিল বিজেপি

কলকাতা: “সিআইডি না পারলে সিবিআই তদন্ত দরকার। একজনের জেড ক্যাটেগরির সিকিউরিটি নিয়েও যদি আঘাত লাগে তাহলে আর কোন সুরক্ষা দেওয়া যেতে পারে? গোটা ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার,” আহত মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর আরও কটাক্ষ, একটু রাস্তা যেতেই হেলিকপ্টার লাগছে ওনার। তাই মাটিতে নামলেই চোট খাচ্ছেন। অন্যদিকে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের মন্তব্য, “আইন-শৃঙ্খলা তো মমতার হাতে, চক্রান্তের অভিযোগ করলে তাঁর নিজের দিকেই আঙুল উঠবে। এই ঘটনায় আমরাও আতঙ্কিত।” ‘মাদার ফিগার’ মমতার চোট প্রসঙ্গে পদত্যাগী মন্ত্রী তথা অধুনা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী।

বুধবার নন্দীগ্রামে গিয়ে চোট পেয়ে আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ দিন বিরুলিয়ার মন্দির থেকে বেরোনর সময় গুরুতর চোট পান তিনি। সূত্রের খবর, তিনি গাড়ির দরজায় বসে থাকার সময় জোরে দরজা ঠেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যথায় রীতিমতো কাতরাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। ঘটনার নেপথ্যে সরাসরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। আঘাত পাওয়ার পর মমতা বলেন, “একটি মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রণাম করছিলাম। সেই সময় কোনও পুলিশ ছিল না। চার-পাঁচ জন পায়ের উপর দরজা করে দেন।” মমতা নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর বুকে ব্যথাও হচ্ছে।

এ নিয়ে বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কটাক্ষ, “রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। সে ক্ষেত্রে আঙুল উঠবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা অবনতির দিকে।” তিনি যোগ করেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো পুলিশমন্ত্রীও বটে। এর আগে দেখেছি এক মন্ত্রীকে বোমার আঘাতে আহত হল। এখন উনি চোট পেয়ে চক্রান্তের অভিযোগ করছেন। তাহলে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কী হবে? এর জবাব ওনাকেই দিতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেন কারও আহত হওয়ার কথা নয়। এই ঘটনায় আমরা সবাই আতঙ্কিত। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকেই আঙুল উঠল।

আরও পড়ুন: মন্দির থেকে বেরোনর সময় গুরুতর পায়ে চোট, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মমতা

অন্যদিকে মমতাকে ‘মাদার ফিগার’ বলা অধুনা বিজেপি নেতার মন্তব্য, উনি নিজে থেকেই নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়েছেন। উনি জেড প্লাস সিকিউরিটি পান। ওনার সঙ্গে কে চক্রান্ত করবেন? তারপর রাজীবের কটাক্ষ, পায়ের তলায় মাটি সরে যাওয়ায় সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন মমতা।

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের কথায়, “কে চক্রান্ত করেছে সেটা তো বলতে হবে। মমতার অভিযোগের কোনো সারবত্তা নেই। সিকিউরিটি নিয়ে যদি ব্যর্থতা হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।”