নন্দীগ্রামে গুরুতর জখম মমতা, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বললেন, ‘জেনেশুনে হামলা’

সূত্রের খবর, তিনি গাড়ির দরজায় বসে থাকার সময় জোরে দরজা ঠেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যথায় রীতিমতো কাতরাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নন্দীগ্রামে গুরুতর জখম মমতা, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বললেন, 'জেনেশুনে হামলা'
মন্দির থেকে বেরোনর সময় গুরুতর পায়ে চোট, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মমতা নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 10, 2021 | 9:42 PM

নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে গিয়ে বিরাট চোট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন বিরুলিয়ার মন্দির থেকে বেরোনর সময় গুরুতর চোট পান তিনি।  তিনি গাড়ির দরজায় বসে থাকার সময় জোরে দরজা ঠেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়, এমনই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যথায় রীতিমতো কাতরাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। ঘটনার নেপথ্যে সরাসরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। আঘাত পাওয়ার পর মমতা বলেন, “একটি মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রণাম করছিলাম। সেই সময় কোনও পুলিশ ছিল না। এসপি ছিল না। চার-পাঁচ জন পায়ের উপর দরজা বন্ধ করে দেয়।” বাঁ-পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পা রীতিমতো ফুলে গিয়েছে। আপাতত ক্রেপ ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে তাঁর পায়ে। ব্যথা পাওয়ার পর যন্ত্রণায় তাঁর জ্বর চলে এসেছে বলে দাবি করেন মমতা। একই সঙ্গে রীতিমতো নজিরবিহীনভাবে নন্দীগ্রামের সমস্ত কর্মসূচি ফেলে তিনি কলকাতা ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন। তবে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রার্থী হয়েছেন, সেখানে তাঁর নিরাপত্তা নেই কেন? এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। যদিও মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে।

মমতা এ দিন স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন, কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। অন্ধকার নেমে যাওয়ার কারণে কপ্টারে কলকাতা ফিরতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। গাড়িতেই শহরে ফিরবেন তিনি। অতীতেও একাধিকবার নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে এ ভাবে কখনও কর্মসূচি ফেলে আসেননি তিনি। কিছুটা নজিরবিহীনভাবেই কলকাতায় ফিরছেন তিনি।

এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের আইনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধেই তোপ দাগা শুরু করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেও কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের নিরাপত্তার ঠিক নেই, সেখানে বাকি জনগণের নিরাপত্তার কী হবে! কিছুদিন আগেই একজন মন্ত্রীকে বোমা মারা হল। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের জীবনের সুরক্ষা কোথায়।” বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “ওনার সঙ্গে ৪০০০ পুলিশ থাকে। আগেও এই ধরনের অনেক মিথ্যা কথা বলে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।”

আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন গুরুতর জখম মমতা, জবাব দিল বিজেপি