Purbo Burdwan: গোবিন্দ চালের গন্ধ, গাড়িতে লাগানো চাবি, লক্ষ টাকার ক্ষতি হতে হতেও বাঁচল মিল মালিকের…কীভাবে?
Purbo Burdwan Theft: অভিযোগ পাওয়ার পরই মাধবডিহি থানার ওসি-র নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এরই মধ্যে চাকদহ এলাকা থেকে মিলন দাস ওরফে সমীর এবং কৃষ্ণনগর কোতুয়ালি থানা এলাকা থেকে তাপস শর্মা ওরফে পল্টু নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

পূর্ব বর্ধমান: লরিতে সারি সারি বস্তা। গোবিন্দ ভোগ চালের গন্ধে ম্ ম্ করছে চারদিক। বিষয়টা নজর রেখেছিল কয়েকজন। বস্তা লোডিংয়ের পর যখন কর্মীরা চা খেতে একটু দূরে সরে ছিলেন, তখনই কেল্লাফতে। একেবারে বস্তা ভর্তি লরিতে উঠে স্টার্ট চোরের। রাইস মিল থেকে ২৫ টন গোবিন্দ ভোগ চাল-সহ আস্ত একটা লরি উধাও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির বুলচন্দ্রপুরের একটি রাইস মিলে।
রাইস মিল সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পলেমপুরের পায়োনিয়ার ট্রান্সপোর্ট মারফত একটি লরিতে ২৫ টন গোবিন্দ ভোগ চাল লোড করা হয়। গাড়িটি কেরল যাওয়ার কথা ছিল। লরির নম্বর ছিল WB15B 6597। কিন্তু ২২ ডিসেম্বর থেকে লরির চালক বা মালিক—কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি।
সন্দেহ ঘনীভূত হলে লরির নম্বর ধরে খোঁজ চালিয়ে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য—উল্লিখিত নম্বরটি ভুয়ো, এমনকি গাড়ির মালিকানার তথ্যও জাল। পরে জানা যায়, ওই নম্বরের আসল গাড়ির মালিক হুগলি জেলায় অবস্থান করছেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ট্রান্সপোর্ট মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এটিকে ‘বড় ভুল’ বলে স্বীকার করেন। এরপর রাইস মিল কর্তৃপক্ষ মাধবডিহি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পরই মাধবডিহি থানার ওসি-র নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এরই মধ্যে চাকদহ এলাকা থেকে মিলন দাস ওরফে সমীর এবং কৃষ্ণনগর কোতুয়ালি থানা এলাকা থেকে তাপস শর্মা ওরফে পল্টু নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হুগলি নদীর পাড়ের বলাগর এলাকা থেকে ৩৮০ বস্তা চালসহ লরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া চাল ও গাড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনার পিছনে সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত থাকতে পারে। পুরো নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে মাধবডিহি থানার পুলিশ।
