Purbo Burdwan: ভোর রাতে খট্ খট্ শব্দ, বিছানায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্বামী…তাঁর দেখভালেই কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া আয়া, চরম অভিজ্ঞতার শিকার বৃদ্ধা
Burdwan Dacoity: পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, বৃদ্ধার স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ায় তাঁকে দেখভালের জন্য কলকাতার একটি আয়া সেন্টার থেকে প্রায় এক মাস আগে ওই মহিলাকে নিয়ে আসেন দম্পতির পরিবার। বাড়িতে তখন শুধু বৃদ্ধ দম্পতি ও ওই আয়াই থাকতেন। দম্পতির এক মেয়ে কলকাতায় বিয়ে হয়েছে এবং ছেলে সেখানেই থাকে।

বর্ধমান: শীতের ভোর। পড়শিরা গভীর ঘুমে। এমন সময়েই বাড়ির দরজায় খট্ খট্ শব্দ। সেই শব্দ শুনে বৃদ্ধা একাই উঠে গিয়েছিলেন দরজা খুলতে। আর দরজা খুলতেই সর্বনাশ। মুখে কালো কাপড় বাঁধা বেশ কয়েকজন ঢুকে পড়েন ঘরে। বাধা দিতে গিয়ে ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম বৃদ্ধা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার তারানগর গ্রামে। আহতের নাম মনোয়ারা বেগম। বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধার স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত। ঘটনার নেপথ্যে এমন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে শিউরে উঠেছেন সকলে। গ্রেফতার করা হয়েছে বৃদ্ধার স্বামীকে দেখভালের জন্য নিযুক্ত আয়া। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে বাড়িতে দরজা খট্খট্ করার শব্দ ওঠে। দরজা খুলতেই মুখ বাঁধা অবস্থায় বেশ কয়েকজন বাড়ির মধ্যে ঢুকে আলমারির চাবি চায়। তা দিতে অস্বীকার করায় বৃদ্ধার উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। হামলায় গুরুতর জখম হন বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বাড়ির আয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, বৃদ্ধার স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ায় তাঁকে দেখভালের জন্য কলকাতার একটি আয়া সেন্টার থেকে প্রায় এক মাস আগে ওই মহিলাকে নিয়ে আসেন দম্পতির পরিবার। বাড়িতে তখন শুধু বৃদ্ধ দম্পতি ও ওই আয়াই থাকতেন। দম্পতির এক মেয়ে কলকাতায় বিয়ে হয়েছে এবং ছেলে সেখানেই থাকে।
আহতের আত্মীয় সেখ মাশুম আহমেদ জানান, মঙ্গলবার ভোররাতে কলকাতা থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে আহত বৃদ্ধার মেয়ের। ফোনে জানানো হয়, বাড়ির আয়া তাঁকে জানিয়েছেন মনোয়ারা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে পৌঁছে আহত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃদ্ধার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং একটি হাত ভেঙে গেছে। তবে অসুস্থ বৃদ্ধার স্বামীর উপর কোনও হামলা চালায়নি দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।
তদন্তের স্বার্থে বাড়ির আয়াকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা যায়, সোমবারই তিনি তাঁর বেতন পেয়েছিলেন এবং তা নিয়ে বৃদ্ধার সঙ্গে বচসা হয়। সেই ঝামেলার জেরেই হামলা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। গলসি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং আর কে কে জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
