Sunil Gavaskar: ব্যক্তি সত্ত্বা সুরক্ষা বলয়ে পা রেখে ইতিহাসে তৈরি করলেন গাভাসকর!
Indian Cricket Team: সুনীল গাভাসকর। ভারত তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেরও কিংবদন্তি। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য। সানি দিল্লি আদালত তাঁর ব্যক্তি সত্ত্বা সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে দিল্লি আদালত জানিয়েছে, যে বা যারা গাভাসকরের ছবি, ভিডিয়ো কিংবা বিজ্ঞাপন তাঁর অনুমতি ছাড়া করেছেন, তাঁদের ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল।

কলকাতা: ইন্টারনেটের দুনিয়ায় কত কী ঘটে! তারকা বা সেলিব্রিটি হলে তাঁদের ছবি বা ভিডিয়ো ব্যবহার করে অনেক কিছু করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁদের সেই ছবি বা ভিডিয়ো ফেক। খেলা থেকে বিনোদন, রাজনীতি বা অন্যান্য জগতের সেলিব্রিটিদের পড়তে হয় নানা সমস্যায়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তাঁদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আরও ভালো করে বললে, ব্যক্তি সত্ত্বা সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ইদানীং সোচ্চার অনেকেই। সদ্য অভিনেতা মাধবন এ নিয়ে দিল্লি আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। যাতে অভিনেতার অনুমতি ছাড়া তাঁর নামে কোনও ভিডিয়ো কেউ করতে না পারেন। অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই, অভিষেক বচ্চনরাও রয়েছেন এমন ব্যক্তি সত্ত্বা সুরক্ষা বলয়ে। ক্রীড়া জগতেও তেমনই করলেন এক কিংবদন্তি। যা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ওই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে দিল্লি আদালত ব্যক্তি সত্ত্বা সুরক্ষার আইনী অনুমতিও দিয়েছে।
কে এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার? সুনীল গাভাসকর। ভারত তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেরও কিংবদন্তি। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য। সানি দিল্লি আদালত তাঁর ব্যক্তি সত্ত্বা সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে দিল্লি আদালত জানিয়েছে, যে বা যারা গাভাসকরের ছবি, ভিডিয়ো কিংবা বিজ্ঞাপন তাঁর অনুমতি ছাড়া করেছেন, তাঁদের ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল। তার মধ্যে ওই জাতীয় যে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মুছে ফেলতে হবে। যদি কোনও ব্যক্তি অপপ্রচার জনিত পোস্ট ডিলিট না করেন, তা হলে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে সেটা করতে হবে।
সম্প্রতি একটি বিপনন সংস্থা সানির নাম ব্যবহার করে পন্য বিক্রি করছিল। ওই পন্য গাভাসকরের পছন্দের, তাও বলা হয়েছে। এমনকি, গাভাসকরের নামে মিথ্যে বিবৃতিও জারি করেছিল। যা মেনে নিতে পারেননি সানি। এর বিরুদ্ধেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ক্রিকেট বিশ্লেষক, ধারাভাষ্যকার সানির জনপ্রিয়তা এখনও কমেনি। নতুন প্রজন্মের কাছেও তিনি আইডল। সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সানির নামে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এমন বিষয় নতুন নয়। মাইকেল জর্ডন, লেব্রন জেমস থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লিওনেল মেসি এই সুরক্ষায় আওতায় রয়েছেন। নিজের ব্যক্তি সত্ত্বা ক্ষেত্রে আইনী সুরক্ষা পেয়ে কার্যত ইতিহাস তৈরি করে ফেললেন সানি। প্রথম ভারতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে।
