‘ভালবাসতে পারছি না!’ দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর সদ্যোজাতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ভারতীর, হঠাৎ কী ঘটল?
মা হওয়ার ঠিক পরেই নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসলেন ভারতী। যা শুনে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। ভারতী সোজাসাপটা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সন্তানের প্রতি এখনও তাঁর কোনও ভালবাসা তৈরি হয়নি, বরং তিনি এখনও তাঁর বড় ছেলে ‘গোলা’কেই ভালবাসেন!

১৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন জনপ্রিয় কমেডিয়ান ভারতী সিং। কিন্তু মা হওয়ার ঠিক পরেই নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসলেন ভারতী। যা শুনে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। ভারতী সোজাসাপটা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সন্তানের প্রতি এখনও তাঁর কোনও ভালবাসা তৈরি হয়নি, বরং তিনি এখনও তাঁর বড় ছেলে ‘গোলা’কেই ভালবাসেন!
২০১৭ সালে হর্ষ লিম্বাচিয়া ও ভারতী সিং সাত পাকে বাঁধা পড়েন। ২০২২ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান গোলার জন্ম হয়। এবার তাঁদের পরিবারে এল এক নতুন সদস্য, যার ডাকনাম রাখা হয়েছে কাজু।
নিজের ইউটিউব ব্লগে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই ভারতী তাঁর মনের কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। সদ্যোজাতকে নিয়ে কমেডি কুইন বলেন, “আমি কাজুর (সদ্যোজাতর ডাকনাম) জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু সত্যি বলতে, আমার ভালবাসাটা এখনও গোলাই রয়ে গিয়েছে। কাজুর সঙ্গে এখনও আমার দেখা হয়নি, সকাল থেকে ওকে দেখিনি। তাই ওর প্রতি এখনও ভালবাসা তৈরি হয়নি। জানি না আদৌ ওর প্রতি আমার ভালবাসা জন্মাবে কি না!”
ভারতী আরও বলেন, “হর্ষের মতো একটা ছেলে যখন আমার জীবনে আছে, যাকে আমি প্রাণ দিয়ে ভালবাসি, তখন অন্য কোনও ছেলের প্রতি আমার ভালবাসা জন্মাবে কীভাবে? তবে হ্যাঁ, যখন কাজু আমার কাছে আসবে, হয়তো ওকে ভালবাসতে শুরু করব। তখন বলতে পারব যে আমার জীবনে তিনজন পুরুষ আছে যাদের আমি ভালবাসি।” ভারতীর এই কথা শুনে পাশে থাকা হর্ষকে মুচকি হাসতে দেখা যায়। হর্ষ বলেন, ভারতীর জীবনে এখন তিনজন পুরুষ (হর্ষ এবং দুই ছেলে), যারা তাঁকে সারা জীবন আগলে রাখবে।
তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি প্রসবের আগের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ভারতী জানান, গত শুক্রবার ভোরে হঠাৎই এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভোর ৬টা বাজে, হঠাৎ দেখি সব ভিজে গিয়েছে। ডাক্তারকে ফোন করতেই তিনি জানান আমার ওয়াটার ব্যাগ ফেটে গিয়েছে এবং আমাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে যেতে হবে। আগের রাতেই আমি বেবি ব্যাগ গুছিয়েছিলাম, কিন্তু শেষ মুহূর্তে খুব ভয় লাগছিল। কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।” ১৯ ডিসেম্বর ভোরেই হর্ষ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেদিনই দ্বিতীয় রাজপুত্রের জন্ম দেন ভারতী।
