Samik Bhattacharya: বিয়ের পর রাহুল সিনহা কী করেছিলেন? বলে দিলেন শমীক
Samik Bhattacharya praises Rahul Sinha: রাহুল সিনহার প্রশংসা করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন এমন একজন, যিনি একসময় অপ্রাসঙ্গিক বিজেপিকে কার্যত রাস্তায় নামিয়েছিলেন। এবং আমাদের সর্বভারতীয় প্রাক্তন সভাপতি নিতিন গড়গড়ি ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভের বৈঠকে যাঁকে দেখিয়ে বলেছিলেন, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের সভাপতিকে রাহুল সিনহার থেকে শিক্ষা নিতে হবে।"

কলকাতা: একজন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। অন্যজন বর্তমান। প্রথমজন যখন সভাপতি ছিলেন, তখন রাজ্যে বিজেপি কার্যত গুরুত্বহীন ছিল। তবু তিনি ময়দান ছাড়েননি। আর আজ যখন রাজ্যে ক্ষমতায় আসার লড়াই করছে বিজেপি, তখন বর্তমান সভাপতি প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন সেই প্রাক্তনকে। গতকাল কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে এই দৃশ্যই দেখা গেল। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন বর্তমান সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। এমনকি, বিয়ের পরই রাহুল সিনহা কী করেছিলেন, সেকথাও টেনে আনলেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি।
গতকাল দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ির ১০১তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে সুশাসন দিবস পালন করে বিজেপি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল সিনহা ও শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপির আর এক প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও উপস্থিত ছিলেন। আর এই সুশাসন দিবস পালনের অনুষ্ঠানেই রাহুল সিনহার প্রশংসা করলেন শমীক।
বছর বাষট্টির রাহুল সিনহা ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন। বিজেপিতে এখন যখন নতুন ও পুরনো কর্মী নিয়ে আলোচনা হয়, তাতে আপত্তি রয়েছে তাঁর। গতকালও সুশাসন দিবস পালনের অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, “সারা ভারতবর্ষ এগিয়ে চললেও বাংলা পিছনের দিকে চলেছে। তাই আমরা সবাই এখানে মিলিত হয়েছি। কারা এরা? কেউ বলে, পুরনো কার্যকর্তা। পুরনো আবার কী? পুরনো মানে তো ফেলে দেওয়ার ব্যাপার। সেই কারণে পুরনো কার্যকর্তা নয়। দীর্ঘ অনুভবী কার্যকর্তা। আপনারাই পার্টিটাকে তিলে তিলে বড় করেছেন। বিজেপির কার্যকর্তা হিসেবে কে আগে এসেছেন কে পরে এসেছেন, সেটা প্রাধান্য হতে পারে না। আসল প্রাধান্য হল কর্ম, যোগ্যতা।”
রাহুল সিনহার পর বক্তব্য রাখেন সুকান্ত ও শুভেন্দু। সবশেষে বক্তব্য রাখেন রাজ্য বিজেপির বর্তমান সভাপতি। আর বক্তব্য রাখতে গিয়েই রাহুল সিনহার ভূয়সী প্রশংসা করেন। শমীক বলেন, “মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন এমন একজন, যিনি একসময় অপ্রাসঙ্গিক বিজেপিকে কার্যত রাস্তায় নামিয়েছিলেন। এবং আমাদের সর্বভারতীয় প্রাক্তন সভাপতি নিতিন গড়গড়ি ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভের বৈঠকে যাঁকে দেখিয়ে বলেছিলেন, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের সভাপতিকে রাহুল সিনহার থেকে শিক্ষা নিতে হবে।” এখানেই থামেননি শমীক। দলের কাজে রাহুল সিনহা কতটা নিবেদিত প্রাণ, সেকথা বোঝাতে গিয়ে শমীক বলেন, “রাহুলদা বিয়ের তিনদিন পর দলের কাজে কোথায় চলে গেলেন। একমাস পর ফেরেন। অন্য রাজ্য হলে গন্ডগোল হত।” তাঁর এই কথা শুনে হেসে ফেলেন সভায় উপস্থিত বেশিরভাগ মানুষ।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, সেইসময় রাজ্যে বিজেপির দাপট না গেলেও রাহুল সিনহা ময়দানে পড়ে থেকেছেন। নিজের বক্তব্যে সেকথাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন শমীক।
