কলকাতা: রেফার রোগ থেকে সরকারি হাসপাতালের (Government Hospital) চিকিত্সা পরিষেবা। সম্প্রতি নানা ঘটনায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) সঙ্গে বৈঠক করলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। বৈঠকে একদিকে যেমন সরকারি হাসপাতালগুলিকে প্রশ্নবাণে বিঁধলেন স্বাস্থ্যসচিব। তেমনই পরিষেবার মানোন্নয়ন নিয়ে তৈরি হল ব্লু-প্রিন্ট।
বিড়ালের গলায় কি তবে ঘণ্টা বাঁধলেন মদন?
বিড়ালের গলায় কি তবে ঘণ্টা বাঁধলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)? কিছুদিন আগেই এসএসকেএমে রোগী ভর্তিতে দালাল রাজের অভিযোগ করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। মদন বাণে বিদ্ধ হওয়ার সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই শহরের সবকটি মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে বৈঠক করলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সূত্রের খবর, মেডিক্যালের পড়ুয়া বিক্ষোভ থেকে চিকিত্সা পরিষেবা বৈঠকে উঠে আসে সমস্ত কিছুই। বৈঠকে SSKM অধিকর্তাকেও প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেন স্বাস্থ্য সচিব। SSKM-এ একটাও দালাল নেই বলতে পারবেন? রাতে আধিকারিকদের পাওয়া যায় না কেন? স্বাস্থ্য ভবনের বদলি নির্দেশিকা মেনে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ছাড়া হয়? রোগীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার হয় না কেন? স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বৈঠকে করা হয়েছে এই সমস্ত প্রশ্নও।
নিশানায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ
স্বাস্থ্য সচিবের নিশানায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজও। প্রশ্ন গিয়েছে তাঁদের দিকেও। দুপুরের পরে সিনিয়র চিকিৎসকদের দেখা মেলে না। রাতে গরহাজির হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপাররা। কেন হচ্ছে এমনটা? করা হয়েছে এই প্রশ্নও। পাশাপাশি রেডিওথেরাপিতে ১৬ কোটির যন্ত্র চাওয়ায় ভর্ৎসনাও করা হয়েছে বলে খবর। যা যন্ত্র আছে তা দিনে কতবার ব্যবহার হয়? ওই একই যন্ত্রে বেসরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়া গেলেও সরকারি হাসপাতালে কেন তা মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা চলছে? ছোড়া হয়েছে এই সমস্ত প্রশ্নও।
স্বাস্থ্য সচিবের প্রশ্নে বিদ্ধ NRS
স্বাস্থ্য সচিবের প্রশ্নে বিদ্ধ NRS-ও। যক্ষ্মা রোগীর জন্য সিসিইউ বেড অমিল কেন? পর্যাপ্ত লোক থাকার পরও কেন নোংরা ওয়ার্ড, হাসপাতাল চত্বর? সূত্রের খবর, করা হয়েছে এই সমস্ত প্রশ্নও। শুধু চিকিত্সা পরিষেবাই নয়, হাসপাতালের রেফার রোগ নিয়েও সরকারের কড়া মনোভাবের কথাও জানান, স্বাস্থ্য সচিব। পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কেন রেফার? করা হয়েছে এই প্রশ্ন। কাঠগড়ায় ডাক্তারি পড়াশোনার মানও। একজন রোগীর শিরা খুঁজতে চারবার সূচ ফোটাতে হচ্ছে! মেডিক্যাল কলেজগুলিতে তবে কী পড়ানো হচ্ছে? উঠে এসেছে এই সমস্ত প্রশ্নও। সূত্রের খবর, এরইমধ্যে মেডিক্যাল কলেজের ওপর রোগী চাপের কথা বৈঠকে তুলে ধরেন অধ্যক্ষ, এমএসভিপি-রা। পাল্টা জেলা মহকুমা হাসপাতাল কেন রেফার রোগের শিকার, সেই প্রশ্নও ওঠে বৈঠকে।