Recruitment Scam: ব্রাত্য যদি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিনেমা বানান… কী বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা
Job Seekers Protest: আন্দোলনরত বলছেন, 'এটা তো অবশ্যই বিনোদন। একটা শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে কত রকমভাবে দুর্নীতি হতে পারে, তা অবশ্যই একটি বিনোদনের জায়গা। কত রকমভাবে একটি দুর্নীতি হতে পারে, সেই ভিন্ন ভিন্ন উপায় যদি সিনেমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায়, তা অবশ্যই বিনোদনমূলক হবে।'
কলকাতা: ব্যাপম কেলঙ্কারি, বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি নাকি বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ? এই তিনটি অপশনের মধ্যে কোনটি নিয়ে সিনেমা বানাতে চান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু? প্রশ্ন শুনে সোমবার তিনি বলেছিলেন, তিনটির মধ্যেই যথেষ্ট বিনোদনের রসদ রয়েছে। তাঁকে গবেষণা করে দেখতে হবে কোনটিতে বিনোদনের উপাদান বেশি। অর্থাৎ, মন্ত্রীমশাই একপ্রকার মেনেই নিচ্ছেন শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে বিনোদনের রসদ আছে প্রচুর। আর এদিকে যাঁরা রাস্তার ধারে এই শীতের মধ্যেও বসে রয়েছেন, নিজেদের চাকরির দাবিতে? তাঁরা কীভাবে দেখছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য? যাঁরা নিজেদের জ্বালা-যন্ত্রণা নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা কী বলছেন?
খোঁজখবর নিতে ধর্মতলার ‘ধরনা-তলায়’ পৌঁছে গিয়েছিল টিভি নাইন বাংলা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথার সঙ্গে একপ্রকার সহমতই পোষণ করছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরাও বলছেন, ‘এটা তো অবশ্যই বিনোদন। একটা শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে কত রকমভাবে দুর্নীতি হতে পারে, তা অবশ্যই একটি বিনোদনের জায়গা। কত রকমভাবে একটি দুর্নীতি হতে পারে, সেই ভিন্ন ভিন্ন উপায় যদি সিনেমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায়, তা অবশ্যই বিনোদনমূলক হবে।’
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা কিছুটা আক্ষেপ-মিশ্রিত কণ্ঠে বলছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘পরতে পরতে সাসপেন্স’ রয়েছে। পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর করলে, সেটা কীভাবে ৫৫ হয়ে যায়, সেটাও একটি বড় সাসেপন্স বা রহস্য বলে মনে করছেন চাকরির দাবিতে আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষায় দুর্নীতির সমস্ত দিক যদি সিনেমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়, তবে তা অবশ্যই বিনোদনমূলক হবে। অর্থাৎ, মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্যের সঙ্গে একপ্রকার একমত তিনি। তাঁদের আশা, ব্রাত্য যদি কোনওদিন এই নিয়ে সিনেমা বানান, তাহলে একজন রাজনীতিক হিসেবে নয়, একজন শিল্পী হিসেবেই সত্য ঘটনাগুলিতে তুলে ধরবেন তিনি।