AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kestopur Student Murder: বাগুইআটি জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজত

Baguiati: হাওড়া স্টেশন থেকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে।

Kestopur Student Murder: বাগুইআটি জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজত
গ্রেফতার সত্যেন্দ্র চৌধুরী।
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 5:53 PM
Share

কলকাতা: বাগুইআটি জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে সিআইডি হেফাজত দিল আদালত। শুক্রবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে তোলা হয় বারাসত আদালতে। এদিনই বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। চলতি সপ্তাহেই বাগুইআটিতে নৃশংস জোড়া খুনের ঘটনা সামনে আসে। অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে দুই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসে।

জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ২৩ অগস্ট। হাড়োয়া থানা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় দু’টি দেহ উদ্ধারের তথ্য পাঠানো হয় বিভিন্ন থানায়। খবর এসে পৌঁছয় বাগুইআটি থানাতেও। অন্যদিকে ২৪ অগস্টই বাগুইআটি থানায় অতনু ও অভিষেকের পরিবার এসে ছেলেদের নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জানান বলে খবর। পরিবারের অভিযোগ, ৬ সেপ্টেম্বর তারা জানতে পারে অতনু, অভিষেক মারা গিয়েছে। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা।

এই জোড়া খুনেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম। যিনি ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, ভিন রাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। বিহারের মতিহারি জেলায় সত্যেন্দ্রর গ্রামের বাড়ি। সেখানেও তদন্তকারীরা গিয়েছিলেন। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে সত্যেন্দ্রর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ থাকায় লোকেশন ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না বলে সূত্রের খবর। এদিকে চেহারাতেও বদল এনেছিলেন অভিযুক্ত। ছোট চুল বড় করা শুরু করেন। বাড়াতে শুরু করেন দাঁড়িও। পুরনো চেহারায় অনেকটাই বদল এনে ফেলেন এই ১৬ দিনে। বড় চুল, চশমা নেই, ক্লিন শেভড। এটাও সত্যেন্দ্রর পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ারই পরিকল্পনার অংশ।

এটিএম পর্যন্ত ব্যবহার করছিলেন না এই ক’দিন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। কিন্তু নগদ টাকা ফুরোতেই ফুরল সত্যেন্দ্রর জারিজুরিও। সূত্রের খবর, টাকা চেয়ে যোগাযোগ করেন এক পরিচিতর সঙ্গে। সেই টাকা হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এক বুকিং এজেন্টকে পাঠাতে বলেন বাগুইআটি জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত। এদিকে সত্যেন্দ্রর এই গতিবিধি নজরে আসে তদন্তকারীদের। এরপরই পাল্টা জাল পাতে তারাও। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পরিকল্পনামাফিক পাঁচটি টিমে ভাগ হয়ে হাওড়া স্টেশনের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে সিআইডি। এদিকে হাওড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট কাটার জন্য সত্যেন্দ্র আসতেই ধরা পড়ে যান তিনি।