কলকাতা: দু’ দিন আগেই বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee) টলিউডের কলাকুশলীদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন। এক সময় হিরণ নিজেও টলিউডে কাজ করেছেন। সেই হিরণই সম্প্রতি দাবি করেছেন, “বনি বাচ্চা। টলিউডের ৯৯ শতাংশই দুর্নীতিগ্রস্ত। টলিউডের ৯৯ শতাংশ প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা কোনও না কোনওভাবে পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে চোরেদের সরকারের সঙ্গে যুক্ত।” রীতিমতো দেব, সায়নী ঘোষের নাম করে বিঁধেছিলেন হিরণ। এবার তারই পাল্টা হিরণকে তোপ বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক তথা এক সময় টলিপাড়ার দাপুটে অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjit Chakrabarty)। দুর্নীতির সঙ্গে যোগ না থাকলে হিরণ এত কিছু জানলেন কীভাবে, প্রশ্ন চিরঞ্জিতের। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই টলিউড-যোগের নানা তথ্য সামনে উঠে এসেছে। যা নিয়ে রাজনীতির আকচাআকচিও নেহাত কম হচ্ছে না। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল চিরঞ্জিত-হিরণ তরজা।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী হিরণকে অভিনেতা হিসাবে খুব একটা গুরুত্ব দিতেই নারাজ। তাই নাম উঠতেই বলেন, “হিরণকে আমি খুব একটা চিনি না। কী কী ছবি করেছে তার নামও বলতে পারব না। এতই কম ছবি করেছে, এতই কম সফল, বাঙালি দর্শকও বোধহয় মনে করতে পারবেন না। যাই হোক তবু ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন।” দুর্নীতির সঙ্গে যোগ না থাকলে এত কিছু জানলেন কী করে?, বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে বিঁধে এরপরই প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত।
টলিউডের ৯৯ শতাংশ প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা কোনও না কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, অভিযোগ হিরণের। যা নিয়ে পাল্টা চিরঞ্জিত বলেন, “আমার মনে হয় ও কিন্তু এই ৯৯ শতাংশের মধ্যেই পড়ে। কোরাপশনটা বোধহয় ওর অন্যদের থেকে আরও বেশি আছে। কারণ, তা যদি না হয় তাহলে ও এত জানবে কী করে। একজন যদি জেলে না যায় তার জেল সম্পর্কে এত ধারণা কীভাবে হবে। একজন যদি প্যারিস না যায় তার প্যারিস সম্পর্কে এত ধারণা কীভাবে হবে। যদি চোর না হয়, তাহলে চোরদের সম্পর্কে জানবে কী করে। ইডি, সিবিআইয়ের কাছে আমার অনুরোধ হিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করুক।”
কিছুদিন আগে হিরণ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের জল্পনা ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিজেপি এই দাবি অমূলক বলে জানিয়েছিল বারবার। হিরণও তাই দাবি করেছিল। যদিও তৃণমূল পাল্টা বলেছিল, শাসকদলে যোগ দিতে হিরণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসেও যান। চিরঞ্জিতের মুখেও শোনা গেল সেই কথা। বারাসতের বিধায়ক এদিন বলেন, “ও বোধহয় একবার অভিষেকের সঙ্গে দেখা করেছিল। আমি শুনেছি ও গিয়েছিল অভিষেকের কাছে তৃণমূলে যোগ দিতে। অভিষেক বলেছে এখনও সময় হয়নি। সংবাদমাধ্যম খোঁজ নিক সবটা। আমার মনে হয় সেই রাগ থেকে ওর মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা কাজ করছে। তাই এসব প্রলাপ বকছে।”