Kolkata-Coochbehar Flight: আজ কলকাতা-কোচবিহার বিমান পরিষেবা শুরু, তাতেও রাজনৈতিক তরজায় শাসক-বিজেপি

Coochbehar: মঙ্গলবার নতুন করে কোচবিহার-কলকাতার মধ্যে ছোট বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে। সেই উড়ানকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক সংঘাতের আবহ।

Kolkata-Coochbehar Flight: আজ কলকাতা-কোচবিহার বিমান পরিষেবা শুরু, তাতেও রাজনৈতিক তরজায় শাসক-বিজেপি
আজ থেকে চালু বিমান পরিষেবা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 21, 2023 | 10:08 AM

কোচবিহার: কোচবিহার থেকে কলকাতায় (Kolkata-Coochbehar Flight) বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে মঙ্গলবার। তবে এই পরিষেবার ঘিরেও সংঘাতের আবহ। কলকাতা-কোচবিহার বিমান পরিষেবা সূচনা অনুষ্ঠানে থাকবেন না রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি। সূত্রের খবর, রাজ্যের ৫ প্রতিনিধি যাওয়ার কথা ছিল এই উড়ানে। কিন্তু ৯ আসনের উড়ানে আসন দাবি করে বিজেপিও। সূত্রের দাবি, জটিলতা এড়াতেই থাকছেন না রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি। যাওয়ার কথা থাকলেন, থাকবেন না রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায়। এর আগেও কলকাতা ও কোচবিহারের মাঝে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হয়। পরবর্তীকালে যাত্রীর অভাবের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। মঙ্গলবার নতুন করে কোচবিহার-কলকাতার মধ্যে ছোট বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে। সেই উড়ানকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক সংঘাতের আবহ।

তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এ নিয়ে বক্তব্য, “দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কলকাতা-কোচবিহার বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। তার প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা করার রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এয়ারপোর্টের প্রস্তুতি থেকে পুলিশি ব্যবস্থা, ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে দমকল, আরও যে ব্য়বস্থা করা দরকার সবই করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে পাঁচজন প্রতিনিধি আজ যাওয়ার কথা ছিল ওই বিমানে। তবে গতকাল বিজেপি যে অভব্য আচরণ দেখিয়েছে, ওরা জোর করে বলছে বিমানের সমস্ত আসনই তারা নেবে। তাদের ৯ জন লোক যাবে। এই অবস্থা দেখে আমরা নিজেরাই তা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”

যদিও পাল্টা বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, “কে যাবেন কে যাবেন না, আমরা তো কাউকে জোর করে নিয়ে যেতে পারি না। কিন্তু আমাদের ওনারা সবসময় জ্ঞান দেন, সকলকে সব কাজে সহযোগিতা করতে হবে। এটা একটা ভাল কাজ হচ্ছে, সেখানে ওনাদের সহযোগিতা করা উচিত। সঙ্গে যাওয়া উচিত। এসব নিম্নমানের রাজনীতি। বাংলায় রাজনীতিকে কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে, আচরণে বোঝা যায়।”

এর আগে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের উন্নয়ন চলুক। এই পরিষেবাতেও কোনও রাজনীতির ছায়া না পড়ুক, বলেছিলেন তিনি। তবে তেমনটা যে হল না, তা বলাই যায়।