DA Protest: ‘চোর ডাকাত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে কাল রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল, ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক আন্দোলনকারীদের

DA: হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দু'টি মিছিলের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর তার মেজাজ আরও চড়া।

DA Protest: 'চোর ডাকাত' মন্তব্যের প্রতিবাদে কাল রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল, ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক আন্দোলনকারীদের
ধরনায় দেখা গেল এমন পোস্টারও।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2023 | 8:52 PM

কলকাতা: বৃহস্পতিবার ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের মহাসমাবেশ যেন আর কিছুটা অক্সিজেন জোগাল সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলিকে। বুধবার ধরনামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সব গিয়ে ডিএ-র ওখানে বসে আছে। তাদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে। চোরেরা, ডাকাতরা, জ্ঞানদাতারা।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। সেই সমাবেশে বৃহস্পতিবার গিয়ে একে একে হাজির হন সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিমরা। যান বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীরাও। বিরোধী দলগুলির দাপুটে মুখ সমাবেশে হাজির হতে আন্দোলনকারীরা যেন আরও ‘শক্তিমান’। ফের কর্মবিরতির ডাক দিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে তারা। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ‘চোর-ডাকাত’ মন্তব্যকে সামনে রেখে শুক্রবার ধিক্কার মিছিল করবে তারা।

সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল হবে। আমাদের চোর ডাকাত এবং ডাকাত সর্দার বলার প্রতিবাদে এই মিছিল হবে সারা রাজ্যে। আগামী ৬ তারিখ এই রাজ্যের কর্মচারীরা ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন। শুধুমাত্র এই কারণের জন্য। ১০ তারিখ ও ১১ তারিখ আমাদের দিল্লিতে যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচি আছে। ১০ তারিখের পর আমরা মিছিল করব। কালীঘাট থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট হয়ে শহিদ মিনারে আসবে। আগামিদিনে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটও ডাকা হবে।

এদিন সরকারি কর্মচারীরা মহামিছিল করেন। সেই মিছিল থেকে চোর, চোর স্লোগান ওঠে। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দু’টি মিছিলের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর তার মেজাজ আরও চড়া। দুই মিছিলই এসে মিলে যায় শহিদ মিনারে। বুধবার যেখানে সভা করেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ‘রাজকর্মচারীদের চোর ডাকাত বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, এর থেকে খারাপ আর কী হতে পারে। উনি তো নিজে পুলিশ মন্ত্রী। তাহলে চোর ডাকাতদের ধরে নিন না। কোনও রাজ্যে এমন মন্তব্য হতে পারে শুনিনি।’

বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, “উনি এর আগে বলেছিলেন ঘেউ ঘেউ করবেন না। এখন চোর ডাকাত বলছেন। অথচ এই কর্মচারীরাই দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালাচ্ছেন। যারা এই বিধানসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট দিয়েছেন ওনাকে। আজ তাঁরা ডিএ চেয়েছেন বলে চোর, ডাকাত হয়ে গেলেন?”

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এদিন মহাসমাবেশে বলেন, “মানুষ খেপছে। এই শহিদ মিনারে বিভিন্ন আন্দোলনের ধারা একসঙ্গে মিলিত হয়েছে। এখানে আর কেউ আলাদা করে ধারাকে ভাগ করতে পারবে না। এটাই যৌথ আন্দোলনের সংযুক্ত শক্তি।”

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও এক সুর, “সুপ্রিম কোর্টে লড়াইয়ে বিকাশদাও যেমন লড়ছেন, আমরাও আমাদের মতো করে সিনিয়র ল’ইয়ার দিচ্ছি। কথা এক, লক্ষ্য এক।”