Raj Bhawan: নন্দিনীকে সরানো থেকে নিশীথ-কাণ্ডের সমালোচনা, রাজভবন ও নবান্নের মধুচন্দ্রিমা কি ইতি?
Governor: জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এ রাজ্যে অন্তর্বর্তীকালীন রাজ্যপাল হিসাবে আসেন লা গণেশন। সেই সময়ই রাজভবনে পাঠানো হয় নন্দিনী চক্রবর্তীকে।

কলকাতা: নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজ্যপালের (Governor CV Ananda Bose) প্রধান সচিব পদ থেকে সরানোর পরই রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের একটা টানাপোড়েন শুরু হয়। শুরু হয় সম্পর্কের অবনতিও। তাতে ঘৃতাহুতি পড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় ঘেরাওকে কেন্দ্র করে রাজভবনের কড়া বার্তা। আর এই প্রেস রিলিজ ঘিরেই গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। রাজনীতির কারবারিদের প্রশ্ন, তবে কি রাজভবন আর নবান্নের মধুচন্দ্রিমা পর্ব শেষ হয়ে গেল? বিশেষত তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় এদিন সম্পাদকীয় পাতায় ‘প্রশ্ন উঠবেই’ শীর্ষক লেখায় শেষ লাইনে লেখা হয়েছে, ‘মনে রাখতে হবে রাজ্যপাল বিজেপির ক্যাডার ছিলেন’। এখানেই প্রশ্ন, তবে কি রাজ্য-রাজভবনের সম্মুখ সমরের পর্ব শুরু হয়ে গেল?
জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এ রাজ্যে অন্তর্বর্তীকালীন রাজ্যপাল হিসাবে আসেন লা গণেশন। সেই সময়ই রাজভবনে পাঠানো হয় নন্দিনী চক্রবর্তীকে। রাজ্যপালের প্রধান সচিব হিসাবে যান তিনি। এরপর পূর্ণ সময়ের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে আসেন সিভি আনন্দ বোস। সে সময়ও নন্দিনীই ছিলেন এই পদে।
আচমকাই সম্প্রতি রাজভবনের থেকে জানানো হয়, তাঁরা নন্দিনীকে রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছেন। এরপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। শাসকদলের তরফে শান্তনু সেন, কুণাল ঘোষরা কড়া ভাষাতেই রাজভবনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। যদিও এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রীকে।
সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন হয় রাজ্যের মুখ্য সচিবেরও। এরপর রবিবার রাজভবন থেকে আসে একটি প্রেস বিবৃতি। যেখানে নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখানো নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। যদিও এক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, রাজভবনের সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কোনও সই নেই। তাতে যদিও দ্বৈরথ থেমে থাকছে না।
রবিবার রাজভবনের প্রেস বিবৃতি, এরপরই তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখায় অনেকের মনেই প্রশ্ন, তবে কি রাজ্যে ধনখড়-জমানার পুনরাবৃত্তি শুরু হল? জগদীপ ধনখড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন, বারবার রাজভবন থেকে বিবৃতি এসেছে। রাজ্যপাল নিজে টুইটারে সরব হয়েছেন। সিভি আনন্দ বোসের জমানায়ও কি রাজভবন একই পথে এগোবে, জবাব দেবে সময়।
