কলকাতা: শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee) সঙ্গে এবার কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) যোগসূত্র! শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থায় ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ। সূত্রের খবর, কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র শান্তনু-পত্নী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থায় ৪০ লক্ষ টাকা লোন দেন। প্রশ্ন উঠছে, যে সংস্থার অংশীদার প্রিয়াঙ্কা, সেই সংস্থায় কেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এই টাকা দেন? সংস্থার অন্যতম এক অংশীদার জানান, সুজয় ভদ্র আবাসনের একটি দোকানের জন্য অগ্রিম হিসাবে এই টাকা দিয়েছিলেন। দীপ ডেভেলপার নামে যে প্রোমোটিং সংস্থা রয়েছে, তারই অন্যতম অংশীদার প্রিয়াঙ্কা, সেই সংস্থা থেকে ইভান কনট্রেড (EVAN CONTRADE) অর্থাৎ প্রিয়াঙ্কা যে সংস্থার ডিরেক্টর, সেখানে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের দাবি, কালীঘাটের কাকু দু’দফায় ৪০ লক্ষ টাকা দেন।
সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ইভান কনট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডে ২০ লক্ষ টাকা যায়। এরপর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ফের ২০ লক্ষ টাকা দেন। যদিও এ নিয়ে এখনও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া শান্তনুকে এখন অবশ্য দল বহিষ্কার করেছে। প্রথম থেকেই শান্তনুর পাশাপাশি শান্তনুর স্ত্রীকেও স্ক্যানারে রেখেছে ইডি।
প্রিয়াঙ্কা নিজেও এক সংস্থার ডিরেক্টর। শান্তনুর একাধিক সম্পত্তির মালিকানাতেও তিনি সঙ্গী বলেই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। যদিও প্রিয়াঙ্কা এ কথা মানতে চাননি। বরং টিভিনাইন বাংলাকে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, শান্তনু কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তদন্ত চলছে। সবটাই সামনে আসবে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, “আমার জানা নেই এত টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তা থাকলে আমি জানতাম।”