কলকাতা: গত বছরের শুরুর দিকে জোর গুঞ্জন ছিল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Joy Banerjee)। আনুষ্ঠানিকভাবে এই যোগদানের বিষয়টি সামনে না এলেও তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা গিয়েছিল জয়কে। এক নেতা তাঁকে মালা পরিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন। যদিও এ নিয়ে খুব একটা চর্চা হয়নি। তবে সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বঙ্গসফরে জয়ের ‘সক্রিয়তা’ নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এসেছে তাঁকে। জেপি নাড্ডা কে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, জয় বন্দ্য়োপাধ্যায়কে এভাবে দেখে কার্যত হতবাক হয়ে যান বিজেপির লোকজনই। গত শনিবার জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে দমদম বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপি নেতারা। ছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। আর সেখানেই চমকে দেওয়া উপস্থিতি ছিল জয় বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। বিজেপির অন্দরেই জল্পনা শুরু হয়, তলে তলে ফুল বদল করেও কেন আবার এখানে হাজিরা? দলের কর্মীদের মনে প্রশ্ন, কেন তিনি নাড্ডাকে স্বাগত জানাতে এলেন? কারা তাঁর নাম পাঠাল?
বিজেপির নিয়মই আছে, এই ধরনের নেতৃত্ব এলে তাঁকে স্বাগত জানাতে কে বা কারা হাজির থাকবেন তা দল ঠিক করে দেয়। সেই মতো নামের তালিকা পাঠানো হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিআরপিএফের কাছে। প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির অফিস থেকেই কি জয় বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নাম পাঠানো হয়েছে? যদিও এ নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কোনও উওর দিতে পারছে না। তবে তালিকায় নাম না থাকলে বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অতদূর পৌঁছনোরই কথা নয়, মানছে দল।
একইসঙ্গে জল্পনা শুরু, তবে কি ভোটের আগে আবারও বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছেন জয় বন্দ্য়োপাধ্যায়? যদিও এ নিয়ে সর্বসমক্ষে কোনও বিজেপি নেতাই মন্তব্য করেননি। তবে দু’য়ে দু’য়ে চার করছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, গত বছরের শুরুর দিকে জয় দাবি করেছিলেন, বিজেপি ছাড়ছেন তিনি এবং তা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে সে সময় অভিমান উগরে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, অসুস্থ হয়ে তিনি আইসিইউয়ে ভর্তি থাকলেও দলের কেউ তাঁর খোঁজ নেয়নি। এরপরই তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন জানান বলে দাবি করেছিলেন। এ নিয়ে এখনও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তা পাওয়া গেলেই যুক্ত করা হবে প্রতিবেদনে।