Primary TET: OMR কাণ্ডে ‘নিরুপায়’ পর্ষদ বিচারপতিকে বলল, ‘এত কিছু করার পরও এমন জঘন্য় কাজ?…’
Calcutta High Court: পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতে বলেন, 'আমাদের তরফ থেকে কোনও খামতি নেই। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
কলকাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে কার্যত ‘নিরুপায়’, ‘বিস্মিত’ পর্ষদের আইনজীবী। নিয়োগ মামলায় আবারও চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে। হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাট থেকে ২০২২ সালের টেটের ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে বলে আগেই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল। সোমবার এক মামলার শুনানি চলাকালীন পর্ষদের আইনজীবীর কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘পর্ষদ কী করবে? পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় কপি নিয়ে চলে গিয়েছেন কারও বাড়িতে। এখানে পর্ষদের কী করার আছে?’ পর্ষদের আইনজীবী জানান, তাঁরা নিরুপায়, বিস্মিত। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এত চেষ্টা করার পরও এই ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটেছে।
ইডি সূত্রে খবর, ১৮৯ টি ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে। প্রাথমিক পর্ষদ কোর্টকে জানায়, তারা ওএমআর শিটের কপি পরীক্ষার্থীদের দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পিছনে কী কারণ তাও ব্যাখ্যা করে পর্ষদ। জানায়, যখন ফল প্রকাশ হবে, তখন যেন প্রার্থীরা উত্তর যাচাই করতে পারেন তার জন্যই এটা দেওয়া হয়েছে। এখন কোনও প্রার্থী যদি তা জেরক্স করে কাউকে দিয়ে দেন, তাতে পর্ষদ কী করবে?
পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতে বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে কোনও খামতি নেই। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ‘কিছু দালাল এখনও চাকরি বিক্রির চেষ্টা করছে। আর কিছু দালাল তাদের আড়াল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।’ বিচারপতি এই ১৮৯ জনের নাম, রোল নম্বর জানতে চান। ইডির কাছে তথ্য় তলব করেন তিনি।
আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এদিন প্রশ্ন তোলেন, ‘১৮৯ জনকে কে বা কারা বলেছে কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে? এর মধ্যে মিডল ম্যান কে?’ বিচারপতি বলেন, ২০২২ সালের প্রাথমিক টেটের পরীক্ষার ১৮৯টি ওএমআর শিট কুন্তলের বাড়িতে কীভাবে গেল তা তাঁকে জানানো হোক। ইডিকে তা জানাতে বলেন তিনি। যাদের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের পোর্টব্লেয়ারে পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন। জানিয়ে দেন, এ ধরনের জঘন্য কাজে যাঁরা যুক্ত থাকবেন, তাঁরা আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন না। জেলে পাঠানো হবে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। বলেন, “এবার দু’টো ওএমআর দেওয়া হয়েছিল। একটা ওএমআর পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছিল। সেই ওএমআর কে কোথায় রাখবে? তার দায় পর্ষদ নেবে না।”