কলকাতা: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও সমাজবাদী পার্টির (সপা) মুখ অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। দু’জনই বিজেপি বিরোধী মুখ হিসাবে এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার কলকাতায় মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় রাজনীতির তরফে নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। ২০২৪-এর আগে কি নতুন সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে, তা নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে তখন টিভি নাইন বাংলাকে সপার সর্বভারতীয় সহসভাপতি কিরণময় নন্দ জানালেন, এই বৈঠক নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কিরণময়ের কথায়, “জাতীয় স্তরেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই বোধহয় দিল্লি থেকেও আমার কাছে বহু ফোন আসছে। জানতে চাইছে মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয় কী হবে। নিঃসন্দেহে রাজনীতি নিয়েই আলোচনা হবে। তবে বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত এর বেশি তো বলা যায় না।”
কিরণময় নন্দের কথায়, উত্তর প্রদেশ সপার শক্তির কেন্দ্রবিন্দু। বিজেপিই সপার প্রধান রাজনৈতিক শত্রু। বাংলাতেও একই ছবি, পর্যবেক্ষণ বর্ষীয়ান এই নেতার। কিরণময় নন্দ বলেন, “বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের মূল রাজনৈতিক শত্রু ভারতীয় জনতা পার্টিই। এদিক থেকে আমাদের দুই দলের একটা মেরুকরণ তো আছেই।”
তৃণমূলের সঙ্গে সপার রাজনৈতিক সখ্যতার প্রকাশ এর আগেও দেখা গিয়েছে। আগামিদিনেও তা দেখা যাবে এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই মত কিরণময় নন্দের। তবে এই বৈঠক থেকে বিকল্প কোনও জোটের রাস্তা খুলতে পারে কি না তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ কিরণময়। তাঁর কথায়, এই সমীকরণ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তবে তাঁর কথায়, “বিজেপিকে হারাতে গেলে যেখানে যার শক্তি বেশি, তাকে সমর্থন করা উচিত।”
এর আগে একাধিক রাজ্যে ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মনোমালিন্য প্রকাশ্যে এসেছে। কংগ্রেস তৃণমূলকে বিজেপির বি টিম বলেও অভিযোগ করেছে। যদিও কিরণময় নন্দের কথায়, কংগ্রেসের এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “প্রতিটা রাজনৈতিক দলই চাইবে নিজের শক্তি বাড়াতে। আর তা হয় ভোটে লড়াইয়ের মাধ্যমে। অতএব কোনও রাজনৈতিক দল যদি মনে করে অমুক রাজ্যে গিয়ে ভোটে লড়ব, তার মানে এই নয় সে বিজেপিকে সমর্থন করছে। কংগ্রেসের বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই।”