কলকাতা: কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা। সেই মামলার শুনানিপর্বে কোর্টের বাইরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। প্রথমজন শোভন চট্টোপাধ্যায়, দ্বিতীয়জন রত্না চট্টোপাধ্যায়। যদিও রত্নার পরিচয় শুধু শোভনের স্ত্রী নয়, তিনি নিজেও বেহালা পূর্বের বিধায়ক ও কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর। তাঁদেরই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। শনিবার আলিপুর আদালতে শুনানি ছিল। সেখানেই রত্না ও শোভনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। পাতি বাংলায় যাকে বলা হয় কলতলার ঝগড়া। এই ঘটনার সময় সেখানে হাজির ছিলেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। এমন দৃশ্যে হতবাক তিনিও। যদিও গোটা ঘটনার জন্য রত্নার রুচিবোধকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, রত্না, শোভন দু’জনই দীর্ঘদিনের রাজনীতির মানুষ। রত্না এখন জনপ্রতিনিধি, তবে শোভনও একটা বড় সময় রাজনীতির অলিন্দে ঘোরাফেরা করেছেন। মেয়র, বিধায়ক সবই ছিলেন তিনি। এদিন আদালতে যা হল তাতে রত্নার আত্মসম্মান বোধ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন বৈশাখী।
বৈশাখীর কথায়, “দু’জনের মধ্যে যে বাদানুবাদ দেখলাম অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শোভনবাবু খুবই নির্বিবাদী মানুষ। ওনাকে যেভাবে অপদস্থ করা হয়েছে, যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে, যেভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুঝলাম না হয় স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের টানাপোড়েন। কিন্তু আমি কোর্টের ত্রিসীমানায় যাই না, আমার মতো করে একটা কর্নারে অপেক্ষা করি, শোভনবাবুর কোনও নথি বা কিছু লাগবে কি না তা দেখি। সেখানে আমাকে বিনা প্ররোচনায় যে ভাষা উনি বললেন। উনি তো জনপ্রতিনিধি। কারও ন্যূনতম চক্ষুলজ্জা বা মান সম্মান বোধ থাকলে এরকম কেউ করতে পারে না।”