নয়া দিল্লি ও কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের সকাল থেকে কার্যত তাণ্ডবলীলা চলেছে রাজ্যজুড়ে। ব্যালট লুঠ, ছাপ্পা… এসব অভিযোগ তো প্রতি মুহূর্তে উঠে আসছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। শাসক, বিরোধী উভয় শিবিরেই রক্ত ঝরেছে। রেহাই পাচ্ছেন না ভোটাররাও। নদিয়া চাপড়ায় ভোট দিতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক সাধারণ ভোটারেরও। আর এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে যে হিংসা-অশান্তির অভিযোগ উঠে আসছে, যেভাবে মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজেপির দিল্লির নেতারা।
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে ইতিমধ্যেই ফোন এসেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের থেকে। দলের কর্মী ও সমর্থকদের প্রয়োজনীয় সবরকম সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি যে কর্মী ও সমর্থকরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসারও সুবন্দোবস্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলার নির্বাচনী অশান্তি নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। টুইটারে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বাংলায় যে কোনও ভোটে খুন, অরাজকতা… এসব ছাড়া কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন ভরে না? এমন কি বাধ্যবাধকতা রয়েছে তাঁর?’ বাংলার ভোটের ঘোষণা মানেই ‘গণতন্ত্রের হত্যার সূচনা’ হয়ে যায় বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বলছেন, ‘কীভাবে মানুষের মাথা ফুঁড়ে দিচ্ছে, কীভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে… ভোট জেতার জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত এরা।’
কড়া নিন্দা জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতা বিপ্লব দেবও। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘একসময় নিজেদের বৌদ্ধিক এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য সারা দেশে পরিচিত ছিল পশ্চিমবঙ্গ। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ক্রুরতা এবং নিষ্ঠুরতার কারণে হিংসার রাজ্য হিসেবে পরিচিত হচ্ছে বাংলা।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও তুলোধনা করেছেন রাজ্যের শাসক দলের। বলছেন, ‘বাংলার সরকার রাজ্যপালের কথা শোনে না, আদালতের কথা শোনে না। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে গিয়েছে।’