কলকাতা: ক্যানিংয়ে হিংসার ঘটনায় এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে হাটুপুখুরিয়া এলাকায় হিংসার অভিযোগ ওঠে। তাতে ক্যানিং থানার আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সিরাজুল ইসলাম ঘরামি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ফের মামলাটি রিট আদালতে ফেরত পাঠিয়েছেন আগের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য। গোটা ঘটনার গুরুত্ব, অভিযোগের সত্যতা এবং আইনি সংস্থান দেখে পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বিচারপতি মান্থা হিংসার ঘটনার যে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটা বজায় রেখেছেন। সেই সঙ্গে মামলাকারির আর্জি মেনে তাঁর বাড়ির সামনে ১৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ পিকেট, ২ জন কনস্টেবল মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ বিচারপতি মান্থা ২৪ জুলাই পর্যন্ত দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমাই কমিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এই পুলিশি নিরাপত্তার খরচ বহন করতে হবে মামলাকারীকেই।
মামলার প্রেক্ষাপট
ক্যানিংয়ের হাটপুখুরিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সিরাজুল ইসলাম ঘরামির বক্তব্য, গত ১১ জুন ২৭৪ জনকে নিয়ে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেখানে স্থানীয় বিধায়ক পরেশ নাথ দাসের মদতে তাঁর ওপর হামলা চলে। লাঠি, বাঁশ, অস্ত্র হাতে তাঁদের কয়েকজন ঘিরে ধরে। মনোনয়ন জমা দিতে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। মামলাকারীর অভিযোগ, এসডিপিও দিবাকর দাস ও ক্যানিংয়ের আইসি দুষ্কৃতীদের আগ্নেয়াস্ত্রং নিয়েই গুলি চালান।
আদালতে সিরাজুলের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় ও সৌম্য নাগ। সিঙ্গল বেঞ্চ জানতে চেয়েছিল, বিস্ফোরক ধারায় যে মামলা রুজু হয়েছে, তা কি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানে? দুপক্ষের জবাব শুনে বিচারপতি মান্থা বিধায়ক, এসডিপিও ও দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।