Tapas Mondal: তাপসকে ‘ওভারট্রাম্প’ করে মাথা হয়েছিলেন একজন…, এক্সক্লুসিভ তাপসের হিসাবরক্ষক

CBI: তাপস মণ্ডলের অফিসের কর্মী নীলাদ্রি ঘোষ, গোপাল দলপতিদের কাজ ছিল প্রার্থী ধরে আনা, বলছেন নীলকমল।

Tapas Mondal: তাপসকে 'ওভারট্রাম্প' করে মাথা হয়েছিলেন একজন..., এক্সক্লুসিভ তাপসের হিসাবরক্ষক
তাপস মণ্ডল ও নীলকমল চক্রবর্তী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 6:43 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। জোর জল্পনা, এবার কি তাহলে রাজসাক্ষী হতে চলেছেন তাপস? যদিও এ নিয়ে তাপস মণ্ডলের হিসাবরক্ষক নীলকমল চক্রবর্তীর বক্তব্য, রাজসাক্ষী হবেন কি না তা তো সময়ই বলবে। তবে তাপসের হিসাবরক্ষকের চোখে কুন্তল ‘ধাপ্পাবাজ’। টিভি নাইন বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করতে শোনা যায় নীলকমলকে। তাপস মণ্ডলকে কেন গ্রেফতার করা হল, নিজের মতো করে এর ব্যাখ্যাও শুনিয়েছেন নীলকমল। তিনি বলেন, “যে দুর্নীতিকাণ্ডে তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে ওনার ভূমিকা হল সকল চাকরি প্রার্থী তাপসবাবুকে বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছেন। ওনার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণও। আমাদের ইডি এতদিন ওনাকে ধরেনি। তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। সিবিআইকেও তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু পিএমএলএ অনুযায়ী তাপসবাবুর কাছে কোনও টাকা পয়সা পাওয়া যায়নি। উনি যা টাকা পয়সা নিয়েছেন, টাকা একজনকে দিয়ে দিয়েছেন। তা উনি বলেওছেন। কুন্তলবাবুও তা স্বীকার করেছেন। তবে তাপসবাবু পার্ট অব দ্য ক্রাইম। তাই ওনাকে ছেড়ে কতদিন চলবে? এটা হওয়ারই ছিল। তাই হয়েছে।”

তবে তাপস মণ্ডলের রাজসাক্ষী হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে নীলকমলের বক্তব্য, “এখনও পর্যন্ত সেরকম কিছু মনে হয়নি। উনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন, সকলের নাম বলেছেন, কে কে জড়িত আছেন সেই নাম বলেছেন। তাই রাজসাক্ষী হবেন কি না তা ভবিষ্যৎ কথা বলবে। হতেও পারেন রাজসাক্ষী।”

একইসঙ্গে এই দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তলের ভূমিকা নিয়ে ধাপ্পাবাজির অভিযোগ তুলেছেন নীলকমল। তিনি বলেন, “কুন্তলের পয়সা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়াটা একেবারেই ব্লাফ। পুরোটাই দুর্নীতি এবং মিথ্যা। কাউকে উনি টাকাপয়সা দিয়েছেন বলেও মনে হয় না। নিজেই সমস্তটা কাজে লাগিয়েছেন।”

ইতিমধ্যেই তাপস মণ্ডলের তরফে একটি ডায়েরি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার খবরও সামনে এসেছে। তার সত্যতা মানলেও নীলকমল চক্রবর্তী বলেন, “কুন্তল ঘোষ ছাড়া আর কাউকে টাকা দেওয়ার কথা সেখানে নেই। কারণ, বলা হয়েছিল কুন্তলই সব করে দেবে। ৩২৫ জন ক্যান্ডিডেটই পাস দেখিয়েছিল কুন্তল। তখনও মনে হয়েছিল কুন্তল করে দেবে সব। ওটা ভুয়ো পরে তো বোঝা গেল। ওনাকে দীপকবাবু নামে একজন সহযোগিতাও করেন।”

অন্যদিকে তাপস মণ্ডলের অফিসের কর্মী নীলাদ্রি ঘোষ, গোপাল দলপতিদের কাজ ছিল প্রার্থী ধরে আনা, বলছেন নীলকমল। তবে পরে তাপস মণ্ডল গোপাল, নীলাদ্রিদের মুক্তহস্তে কাজ করার স্বাধীনতা দেন বলে জানান তিনি। ক্রমেই গোপাল দলপতি, তাপস মিশ্ররা কুন্তলের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে শুরু করেন বলেও জানান তাপসের হিসাবরক্ষক। “তাপসবাবু ধীরে ধীরে সাইড হয়ে গেল”, দাবি নীলকমলের।

নীলকমল জানেন চন্দন মণ্ডলের ভূমিকাও। বললেন, “যাঁদের চাকরি হয়েছে, সেটায় চন্দন মণ্ডল জড়িত। আর যেখানে টাকা নিয়ে চাকরি হয়নি, লোকের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, তাতে এরা যুক্ত।” মানিক ভট্টাচার্যের কাছে তাপস মণ্ডল টাকা পৌঁছে দিতেন বলেও দাবি করেন নীলকমল। সেভাবেই তাপস দু’ একটা কেস মানিককে দিয়ে করিয়ে নেন বলেই বক্তব্য নীলকমলের। আর এখন কুন্তল সেগুলিকে তুলে ধরছে বলেও জানান তিনি।