Saltlake: রাস্তার উপরেই বসেছিল মদের আসর, আচমকা হইহই, যুবকের অবস্থা দেখে হা এলাকার লোকজন
Crime News: স্থানীয় সূত্রে খবর, কেস্টপুর খ্রিস্টানপাড়ায় রাজু মালের বাড়ি। তবে খাল পার করে আড্ডা মারতে নয়াপট্টিতে আসতেন নিয়মিত। সেখানেই আড্ডা চলত।
কলকাতা: মদের আসরে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়। নিহতের নাম রাজু মাল (৩৩)। সোমবার দুপুরে সল্টলেকের নয়াপট্টি বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভরদুপুরেই রাস্তার ধারে বসে মদ্যপান করছিলেন একদল যুবক। সেই মদের আসরেই নিজেদের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, তার জেরেই মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হন রাজু। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কেস্টপুর খ্রিস্টানপাড়ায় রাজু মালের বাড়ি। তবে খাল পার করে আড্ডা মারতে নয়াপট্টিতে আসতেন নিয়মিত। সেখানেই আড্ডা চলত। সোমবার দুপুরেও নয়াপট্টি বাজারে বন্ধুদের সঙ্গে মদের আসরে যোগ দেন বলে স্থানীয়দের দাবি। সেখানেই কোনও গোলমালের জেরে রাজুকে খুন হতে হয় বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে মদের আসর বসল।
স্থানীয় বাসিন্দা বিনয় বিশ্বাস বলেন, “২টোর সময় আমি হেঁটে যাচ্ছি। দেখি একদল ছেলে রাস্তার উপর বসে মদ খাচ্ছে। আমাকে একজন আবার জিজ্ঞাসাও করল, কোথায় যাচ্ছ বিনয়দা? বললাম বাড়ি যাচ্ছি। এরপর তো চলে যাই। কখন ঝামেলা লাগল, কী হল, কিছুই জানি না। আমি বাড়ি গিয়ে খাওয়াদাওয়া করি। পরে শুনছি একজন মারা গেছে। ছেলেটা কেষ্টপুর থাকে। ২-৩ মাস হয়েছে এখানে এদের সঙ্গে মেলামেশা করছে বলে শুনলাম।”
ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় যান ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দেব নস্কর ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশোভন মণ্ডল (মাইকেল)। জয়দেব নস্কর বলেন, “ঘটনাটা ভরদুপুরে ঘটেছে। কিন্তু আমি খবর পাই সন্ধ্যা ৭টার সময়। একজন জানায়, নয়াপট্টি সুইস গেটের সামনে একজনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এলাকাটা এমনিই দুপুরে ফাঁকা থাকে। এলাকার কয়েকজন ওই ছেলেটিকে উদ্ধার করে বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ডাক্তাররা জানান, মারা গিয়েছেন।”
ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্ত চারজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে মদের গেলাস, সিগারেটের প্যাকেট। নিয়মিত যে এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে, বলছেন স্থানীয়দেরই একাংশ। কিন্তু তার জেরে যে একজনের প্রাণ চলে যাবে, অবাক স্থানীয়রাও।