কলকাতা: বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন ঘিরে এবার তরজায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেব (Gautam Deb)। এই চুল্লি উদ্বোধন ঘিরে কুণাল ঘোষের চিঠিতে প্রবল চাপে মেয়র গৌতম। সূত্রের খবর, চুল্লি উদ্বোধনের ফলক খুলে ফেলতে গৌতম দেবকে চিঠি লিখেছেন কুণাল ঘোষ। কারণ, ফলকে এই চুল্লি তৈরির সমস্ত ‘কৃতিত্ব’ পুরনিগমকে দিয়েছেন মেয়র। অথচ কুণালের বক্তব্য, চুল্লি তৈরিতে তিনি এবং সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দিয়েছিলেন। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কুণাল ঘোষ এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। অন্যদিকে যোগাযোগ করা যায়নি গৌতম দেবের সঙ্গেও। তাঁদের প্রতিক্রিয়া পেলে তা যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে।
শিলিগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডে কিরণচন্দ্র শ্মশানঘাট। সেখানে দ্বিতীয় চুল্লির উদ্বোধন হয় চারদিন আগে। ফেসবুকে এই চুল্লি উদ্বোধনের ছবি শেয়ার করেন গৌতম দেব। লেখেন, ‘শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১,৫৩,৫৩,৯৭৩.০০ টাকা অর্থানুকূল্যে কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটে নবনির্মিত ২য় বৈদ্যুতিক চুল্লির শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।’
সূত্রের দাবি এরপরই গৌতম দেবকে কড়া চিঠি দেন কুণাল ঘোষ। কী লেখা হয়েছে সেই চিঠিতে? সূত্র বলছে, ওই চিঠি শিলিগুড়ি পুরনিগমের কমিশনার ও মেয়রের হাতে পৌঁছেছে। চিঠিতে কুণাল যা লিখেছেন, তার সারাংশ, ২০১৮ সালে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের অনুরোধে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ৬১ লক্ষ টাকা দেন এই চুল্লি নির্মাণ প্রকল্পে। সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দেন ৫০ লক্ষ টাকা। অথচ এই টাকার কোনও উল্লেখ না করে পুরনিগমের অর্থানুকুল্যে নির্মিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাংসদ তহবিলের টাকা নিলে তা উল্লেখ করা নিয়ম। উত্তরবঙ্গের জন্য এর আগেও কুণাল বহু অর্থ দিয়েছেন বহু প্রকল্পে।
সূত্রের দাবি, গৌতম দেবকে লেখা ওই চিঠিতে কুণাল নাকি লিখেছেন, ‘আমি উত্তরবঙ্গে ভোটে দাঁড়াতে যাব না। কিন্তু সাংসদ হিসাবে আমি কী কী কাজ উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য করেছিলাম তা জানার অধিকার সেখানকার মানুষের আছে।’ সূত্রের খবর, উদ্বোধনের যে ফলকে শুধুমাত্র মেয়রের নাম রয়েছে, সেই ফলক অবিলম্বে খুলে ফেলার কথাও বলেছেন কুণাল। যদিও কুণাল ঘোষকে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।