
কলকাতা: ফের বঙ্গোপসাগরে নতুন সিস্টেম। ফের জোড়া নিম্নচাপ। মালাকা প্রণালীতে ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ারের ইতিমধ্য়েই জন্ম হয়ে গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার। ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ারের প্রভাব ভারতের মূল ভূখণ্ডে পড়বে না। শ্রীলঙ্কা উপকূলে আরও একটি নিম্নচাপের জন্ম হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দফায় দফায় শক্তি বাড়বে শ্রীলঙ্কা লাগোয়া নিম্নচাপের। দ্বিতীয় নিম্নচাপেই এখন নজর আবহাওয়া দফতরের। আবহওয়া দফতর যদিও বলছে বঙ্গবাসীর চিন্তার কারণ খুব একটা নেই। কারণ এর সরাসরি প্রভাব বঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে হাওয়ার গতিতে পরিবর্তন হতে পারে।
অন্যদিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তবে বাংলায় আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তন নেই বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিংয়ে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা সামান্য কমলেও খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। কলকাতায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই থেকেছে। আগামী কয়েক দিন কলকাতায় পারদ ১৭ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ঘরে থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। দিনের বেলায় শীতের অনুভূতি কম থাকলেও রাত এবং ভোরে ঠান্ডা বেশি লাগবে। আগামী ৩ থেকে ৪ দিন রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গাতেই সকালের দিকে হালকা কুয়াশা দেখা যেতে পারে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সেখানেও শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে সকালের দিকে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই থাকছে শীতের আমেজ। সব জেলাতেই শুষ্ক আবহাওয়া, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছিই থাকছে।